পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় । بر সিধাভাবে থাকা ও উচ্চ চিন্তা করা-ইহাই ছিল তঁহার জীবনের’ उ* |'* ১৯১২ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৩শে ফেব্রুয়ারী তারিখের ‘ষ্টেটসম্যান” পত্ৰ মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ সম্বন্ধে লিখিয়াছিল-“তিনি সুশিক্ষিত ছিলেন, ব্যবসায় সম্বন্ধে তাহার প্রভূত যোগ্যতা ছিল এবং তাঁহার আদর্শও ছিল উন্নত ।” মহারাজকে রাজর্ষি বলিলে বিন্দুমাত্ৰ অতু্যক্তি হয় না। তাহার বিপুল আয় তিনি সদনুষ্ঠানে ও জনগণের কল্যাণাৰ্থ ব্যয় করিতেন। তিনি স্বয়ং সন্ন্যাসীর মত থাকিতেন । মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্র নিরামিষাশী ছিলেন এবং কোনও প্ৰকার মাদকদ্রব্য ব্যবহার করিতেন না । উড়িষ্যার করদরাজ্যসমূহের নৃপতি-মণ্ডলে সুশাসনের আদর্শ প্ৰতিষ্ঠার জন্য মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্রের আবির্ভাব হইয়াছিল। ময়ুরভঞ্জ রাজ্যকে সর্বপ্রকারে সমুন্নত করিয়া তিনি তঁহার সেই আদর্শ সার্থক করিয়া গিয়াছেন । তঁহার কীৰ্ত্তি ময়ুরভঞ্জের তথা উড়িষ্যার ইতিহাসে সমুজ্জল হইয়া থাকিবে । স্বৰ্গীয় মহারাজা পুৰ্ণচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব মহারাজা পূৰ্ণচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দের ৭ই আগষ্ট তারিখে জন্মগ্ৰহণ করেন। তিনি আজমীর রাজ-কলেজে শিক্ষাপ্ৰাপ্ত হয়েন। গুজরাটের ওয়ানকানির রাজ্যের মহারাণ রাজা সাহেবের জ্যেষ্ঠা কন্যার সহিত তাহার বিবাহ হয়। পিতার ন্যায় মহারাজা পূৰ্ণচন্দ্ৰও প্ৰজাগণের হিতকাজী এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লোকহিতকর বহুকাৰ্য্য করিয়া গিয়াছেন। দুঃখের বিষয়, তিনি ১৯২৮ খষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন। dunung