পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኸታ”8 বংশ-পরিচয় বেশ শাস্থিতে বাস করিতেছিলেন ; তাহা জানা যায় । হৃদয়রাম দের পুত্র জয়কৃষ্ণরাম দে বর্দী পরিত্যাগ করিয়া কোন সুবিধাজনক স্থান অন্বেষণ করিতে থাকেন । তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং বালেশ্বর ব্যবসায়ের পক্ষে সুবিধাজনক স্থান দেখিয়া সেইখানে বাস করিতে থাকেন । ১৭৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি এখানে তিন পুত্ৰ লইয়া আসেন । জয়কৃষ্ণরাম ব্যবসায় করিয়া প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করেন এবং কিছু ভূসম্পত্তি ও করেন। তিনি অল্পকালের মধ্যেই তিন পুত্র রাখিয়া মারা যান; তন্মধ্যে মাণিকরাম দে খুব বুদ্ধিমান ও মেধাবী। তিনি উড়িয়া, বাঙ্গালা, সংস্কৃত ও পাশাভাষায় অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনিও পিতার ন্যায় ব্যবসায় কাৰ্য্যের জন্য আগ্ৰহান্বিত হইয়াছিলেন । মাণিকরাম ব্যবসায় কাৰ্য্যে বিশেষ প্ৰতিপত্তিশালী হইয় উঠেন। তিনিও ব্যবসায়ে প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করিয়া অনেক ভূসম্পত্তি করেন। তিন পুত্র রাখিয়া ১৮০৪ শ্ৰীষ্টাব্দে মাণিকরাম মৃত্যুমুখে পতিত হন। পুত্র তিনটীর নাম দারাম, জগন্নাথ ও রঘুনাথ। দয়ারাম ১৮২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে মারা যান। মাণিকরামের দ্বিতীয় পুত্ৰ জগন্নাথ পিতার জমিদারী ও ব্যবসায়াদি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন। তখন বালে শ্বর জেলা ইংরেজের অধীন ছিল । জগন্নাথ তখনকার বালেশ্বর মহকুমার কোষাধ্যক্ষ হন । ১৮৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে জগন্নাথ মৃত্যুমুখে পতিত হন । রঘুনাথও ব্যবসায় করিতেন । তিনি ইউরোপখণ্ডে সুন্দর “সান” নামক কাপড় রপ্তানী করিতেন। তাহা ছাড়া ঘি ও কড়ির তাহার বিস্তৃত ব্যবসায় ছিল। তিনি ধাৰ্ম্মিক ছিলেন। তিনি জনসাধারণের উপকারার্থে সরোবর খনন, মন্দির প্রতিষ্ঠা প্ৰভৃতি করিয়াছিলেন । তিনি ১৮৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে মারা যান। তঁহার চারি পুত্ৰ-(১) ব্ৰজমোহন (২) রূপচরণ (৩) সনাতন ( s ) শুষ্ঠামানন্দ । ব্ৰজমোহন ও রূপচরণ পিতার জীবদ্দশাতেই মারা যান : সনাতন পিতার মৃত্যুর এক মাস পরে মারা যান। সনাতনের এক পুত্ৰ