পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালেশ্বরের রাজবংশ br@。 রাধানাথ । রাধানাথ ১৬ বৎসর বয়সে মারা যান । পিতা ও জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতাদের মৃত্যু হওয়ায় শুষ্ঠামানন্দ পিতৃসম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী 零ーI | ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাব্দে শুষ্ঠামানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তঁহার উপর যখন ংসারের সমস্ত দায়িত্ব পড়ে তখন তঁহার বয়স মাত্র ২৬ বৎসর বা তিনি বহু যত্ন ও পরিশ্রমের বলে পিতৃসম্পত্তির বিস্তৃতি সাধন করেন । শ্যামানন্দ এডুকেশন ও রোডসেন্স সোসাইটীর এবং লোকাল মিউনিসিপালিটীর সভ্য ছিলেন। শ্যামানন্দু অনেক জনহিতকর কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । দানের ও নানাবিধ সৎকাৰ্য্যের জন্য তাহার নাম চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে। ১৮৬৬ সালের ভীষণ দুর্ভিক্ষের সময়ে তিনি প্রচুর পরিমাণে দান করিরা ছিলেন। সেই সময়ে তিনি ক্ষুধাৰ্ত্ত নর-নারায়ণের সেবার জন্য একটী অন্নছাত্ৰ প্ৰতিষ্ঠা করিয়া অন্ন ও বস্ত্ৰ বিতরণ করিতে থাকেন। ব্ৰহ্ম ও আরাকান হইতে প্ৰভুত পরিমাণে চাউল আনিয়া তিনি তাহার আত্মীয়স্বজন, প্ৰতিবেশী ও প্রজাবর্গের মধ্যে বিতরণ করিয়াছিলেন । ইহা ছাড়া তিনি প্রজাবর্গের এক লক্ষ টাকা কর মাপ করিয়াছিলেন । সে সময়ে যদি তিনি মুক্তহস্তে দানের জন্য অগ্রসর না হইতেন, তাহা হইলে কত লোক যে অনাহারে মারা যাইত তাহার আর ইয়ত্ত নাই। গুণগ্ৰাহী গবমেণ্টও তাঁহার বিদ্যান্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন । তিনি আপনি সহরে নিমকালী ও বারেশ্বর মন্দিরের প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। রিমুনার গোপীনাথ মন্দির তাহারই প্ৰতিষ্ঠিত । পুরীর জগন্নাথ-মন্দির একবারে ভগ্নদশায় উপস্থিত হইয়াছিল, শুষ্ঠামানন্দ তাহার সংস্কার করিয়া মন্দিরটিকে ধ্বংসের পথ হইতে রক্ষা করেন । এই মন্দিরের সংস্কারকল্পে শুষ্ঠামানন্দ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন । তিনি এই সৎকাৰ্য্যটী এত সংগোপনে করিয়াছিলেন যে, তঁহার মৃত্যুর পূর্বে র্তাহার পুত্রকন্যাগণও জানিতে পারেন নাই! তাহলয়