পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f5, 1 তাহার পত্নী শরৎকামিনী। ১৩১৯ সালের শ্রাবণ মাসে কঠিন ব্যাধিতে আক্ৰান্ত হন। এই সময়ে ইন্দুভূষণ দেওঘরে ছিলেন। শরৎকামিনী নিজে এইরূপ কাতর হইয়াও প্ৰবেশিকা পরীক্ষার্থ পুত্রের লেখাপড়াব বাধা পড়িবে আশঙ্কায় এতদিন ইন্দুভূষণকে সংবাদ দিতে দেন নাই । তৎপর রোগ বিশেষ বৃদ্ধি পাইলে সেই সংবাদে ইন্দুভূষণ বাড়ী আসিলেন এবং পৌছানর অব্যবহিত পরেই শরৎকামিনী। ১৩১৯ সালের ১১ই আশ্বিন তারিখে শুক্রবার। ৮ দিনের একটী শিশুপুত্র রাখিয়া চিরদিনের জন্য চক্ষু মুদ্রিত করিলেন । ইন্দুভূষণের জঙ্গই যেন তাহার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছিল, তাহা এখন মহাশূন্যে মিশিয়া গেল । ১৩২০ সালে ২রা বৈশাখ ঈশানচন্দ্রের প্রথম পক্ষের অবশিষ্ট একমাত্ৰ পুত্ৰ পুৰ্ণচন্দ্ৰ তাহার দুই পুত্র ও দুই কন্যা রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ঈশানচন্দ্ৰ তাহার বৃদ্ধ বয়সে এই প্ৰবল আঘাত সহা করিতে পারিলেন না। ঈশানচন্দ্রের বড় সুখের সংসার অভাবনীয় দুঃখময় হইয়া উঠিল। পত্নী ও উপযুক্ত পুত্ৰশোকে তঁহার দেহ ও মন ভাঙ্গিয়া পড়িল। এই সময় হইতে তিনি এক দুরারোগ্য জীৱে আক্রান্ত হইলেন। ক্রমশঃ তাহার শরীর শীর্ণ হইতে লাগিল। প্ৰধান প্ৰধান চিকিৎসকগণও তঁহার ব্যাধি নির্ণয় করিতে সক্ষম হইলেন না। অবশেষে ১৩২২ সালের ১৫ই বৈশাখ বুধবার শুক্ল চতুর্দশী তিপিতে পুণ্যময় পবিত্ৰ তীৰ্থ কাশীধামে ঈশানচন্দ্ৰ ংসারের মায়া পরিত্যাগ করিয়া সুখ ও দুঃখের অতীত পুণ্যময় লোকে মহাপ্ৰস্থান করিলেন । ঈশানচন্দ্ৰ চলিয়া গিয়াছেন। যদি পাপপুণ্যের বিচার থাকে, যদি ধৰ্ম্মধর্মের কোন মূল্য থাকে, তবে পরলোকে ন্যায় অন্যায়ের বিচারক জগতপিতা পরমেশ্বরের নিকট র্তাহার অর্জিত পুণ্যের পুরস্কার তিনি অবশ্যই পাইয়াছেন। আর ইহলোকে তাহার অনুষ্ঠিত কাৰ্য্যাবলী তাহাকে চিরদিন অমর করিয়া রাখিৰে । বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে-এমিন',