পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদনমোহন চট্টোপাধ্যায় বংশ । २२७() করিয়া ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত বিদায় এবং ব্ৰাহ্মণকে ভূমি ও পাঙ্কি প্রভৃতি শ্ৰদান করিয়াছিলেন । তঁহার মাতা চারি পাঁচ দিন গঙ্গাবাসের পর সজ্ঞানে দেহত্যাগ করেন। উপযুক্ত স্থানাভাবে গঙ্গাযাত্রীদের কিরূপ কষ্ট ভোগ হয় তাহা প্ৰত্যক্ষ করিয়া কলিকাতার জগন্নাথ ঘাটের পাশ্বে কিছ জমি সংগ্ৰহ করিয়া গঙ্গাযাত্রীদের গৃহ নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা করিবার উদ্দেশ্যে মদনমোহন জাষ্টিস অফ দি, fপ সদিগের সহিত পত্র ব্যবহার করেন। কিন্তু ভয়পক্ষের মতের মিল না হওয়ায়, উহা কায্যে পরিণত হয় নাই। মাতৃবিয়োগের পরে মদনমোহন যথাসময়ে মাতার গয়াশ্ৰাদ্ধ করিয়া আসেন। সেই যাত্রায় মদনমোহন কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন, প্ৰয়াগ প্ৰভৃতি তীৰ্থকৃত্য করিয়া আসেন। তখনও এই সকল স্থানে রেল প্ৰস্তুত না হওয়ায় বিপদসঙ্কুল পথে বহু কষ্টভোগ করিয়াও এই সকল তীৰ্থ দৰ্শন করিতে হইত। মদনমোহন ধৰ্ম্মে চিরদিন রক্ষণশীল দলভুক্ত ছিলেন। মহর্ষি দেবেঙ্গনাথের আত্মজীবন-চরিতে প্ৰকাশ যে তিনি বৈদিক প্ৰণালীতে শ্ৰাদ্ধ করিলে মদনমোহন তাহাতে আপত্তি করেন। উত্তরকালে মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ আপন পরিবারে যখন ব্ৰাহ্ম বিবাহ প্ৰচলন করিলেন, তখন মদনমোহন মাতুল রমানাথের সহিত বিরুদ্ধ পক্ষ অবলম্বন করিয়া মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকে ত্যাগ করেন। ব্ৰাহ্ম অনুষ্ঠানকে তিনি কোনদিন হিন্দুধৰ্ম্মের অঙ্গীভূত বলিয়া মনে করিতেন না। স্ত্রী চুম্বাধীনতার ও স্ত্রীলোকের স্কুলে শিক্ষারও তিনি চিরদিন বিরোধী ছিলেন । होgभल्यनाथ । মদনমোহনের জ্যেষ্ঠপুত্র দীনেন্দ্রনাথ সন ১২৩৭ সালের ২১শে পৌষ তারিখে (ইং ১৮৩১ খ্ৰীষ্টাব্দে ) জানুয়ারী মাসে পিতার মাতুলালয়ে জোড়াসাঁকোয় ঠাকুর বাটীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাটীতে গুরুমহাশয়ের