পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গপুর মন্থনার জমিদার বংশ । ২৬১ করিতে বাধ্য হন। কাজির হাট, ফতেপুর, ইদ্রাকপুর, এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র চাকলা, ক্রমে ক্ৰমে কোচবিহার রাজ্যের হস্তচু্যুত হইতে থাকে ও মুসলমান শাসনাধীনে আইসে। মুসলমান শাসনাধীনে আসিলেও সুবাদার কোচবিহারের অধীনস্থ চৌধুরীগণের হস্তেই তাহদের সম্পত্তি পুনঃ প্ৰত্যাৰ্পণ করার জন্য ইচ্ছুক ছিলেন, কিন্তু প্ৰথমতঃ মন্থনার জমিদার ংশ মুসলমানের অধীনে পরগণার মালিক হইতে অনিচ্ছুক ছিলেন বলিয়া তাহাদের পুর্বাধিকৃত অনেক সম্পত্তি পরহস্তগত হয়, কিন্তু যখন সুবাদার স্বয়ং ঘোড়াঘাটে উপস্থিত হইয়া পরগণার নূতন বন্দোবস্ত করিতে আরম্ভ করেন তখন তদানীন্তন জমীদার তাহার মাতা ও আত্মীয় স্বজনের অনুরোধে তঁহার নিকট উপস্থিত হন। ‘দ্য নিজ প্রার্থনা জানান ; কিন্তু তখন চাকলা, ফতেপুরের অধিকাশ স্থলেরই বন্দোবস্ত শেষ হইয়াছিল, মাত্ৰ পve দুই আনা অংশ অবশিষ্ট ছিল, ঐ ০/০ দুই আনা অংশই মন্থনা পরগণা নামে অভিহিত হইয়া চৌধুৰী বংশের হস্তগত হয়, তারপর ক্রমে এদেশে ইংরেজ শাসন প্ৰতিষ্ঠিত হইতে থাকে, কিন্তু উক্ত পরগণা এ পৰ্য্যন্ত উল্লিখিত চৌধুরী বংশের জমিদারীরূপে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। ১৯৯৪ সালে ( ১৭৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ) রঙ্গপুর জেলায় ভীষণ বন্যা হইয়া ত্রিস্রোতার গতি পরিবর্তিত হয় এবং লোকের গৃহ ও সম্পত্তি নাশ প্রভৃতি দুর্দশার সঙ্গে সঙ্গে মড়ক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়, এই সব দৈব দুৰ্ব্বিপাকে মন্থনা পরগণার যথেষ্ট ক্ষতি হওয়ায়, রাজস্ব আদায়ে অন্তরায় উপস্থিত হয়। এই সময় জয়দুর্গ দেবীই মন্থনার ভূম্যধিকারিণী। তিনি পুৰ্ব্ব বন্দোবস্ত অনুসারে ৩৪৫৭৯৮.৩/১২॥০ টাকা সদর রাজস্ব প্ৰদান করিবার কোন উপায় না দেখিয়া রাজস্ব হ্রাসের প্রার্থনা জানান। তদানীন্তন কালেক্টর সাহেব অনুসন্ধান করিয়া সদর রাজস্ব ১৩২৭৯J১৩০ টাকা BBB DBBDBDSDDB SDBBBD DBBDD LLLS DD DBDBD DD হ্রাসের প্রার্থনা জানান। ইহাতে কালেক্টর সাহেব সম্পূর্ণ অসম্মত হইয়।