পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R 3 ংশ পরিচয় । যাইতেন ।” তঁহার অশেষ গুণরাশি এই সামান্য দোষটিকে সাধারণের চক্ষে ঢাকিয়া রাখিয়াছিল। লোকে বলিত, ধরণীবাব বড় রাসভারি । তিনি ঐ সময়ে আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু তৎকালে অর্থাভাবে সেগুলি প্ৰকাশিত করিতে পারেন নাই। হরিশ্চন্দ্ৰ, ফ্রেব্য, প্ৰহলাদ চরিত, নামক র্তাহার লিখিত পুস্তক তিনখানির জীর্ণ হস্তলিপি আজিও সযত্নে রক্ষিত আছে । এইস্থানে একটা আক্ষেপেৰ কথা না বলিয়া থাকা যায় না । তাহার আর্থিক অবস্থা যখন অসচ্ছল ছিল, তখন তিনি সাহিত্যচর্চায় সবিশেষ নিযুক্ত ছিলেন, কিন্তু উক্ত অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভঁাহার সে চৰ্চা কমিয়া আসে । সাধারণতঃ লোকে যাহা চায় ধারণীবাবুর ভাগ্যে সে সমস্ত ঘটিয়াছিল। পিতৃমাতৃবিয়োগ-জনিত শোক ভিন্ন তিনি জীবনে উল্লেখযোগ্য অন্য কোন প্ৰকার শোক প্ৰাপ্ত হন নাই। স্ত্রী, পুত্ৰ, কন্যা ও আত্মীয় স্বজনে পরিবেষ্টিত হইয়া তিনি পূজাদি ক্রিয়া কলাপের দ্বারা সংসারের সকল সুখই লাভ করিয়াছিলেন । দেশভ্ৰমণে তিনি অত্যন্ত আনন্দলাভ করিতেন, সময় পাইলে তিনি মধ্যে মধ্যে তীর্থযাত্ৰাও করিতেন । তিনি যেখানে যাইতেন সেখানে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দরিদ্রগণের সহিত বিশেষ পরিচিত হইয়া উঠিতেন । ল্যাবসায়েঃ নিমিত্ত র্তাহাকে প্রায়ই কটক যাইতে হইত, তথায় তাহার প্যাতি এরূপ ছিল যে মল্লিক। বাবু আসিয়াছেন শুনিলে তঁহার বাসার সম্মুখে অনেক দরিদ্রের সমাগম হইত। তিনি তাহাদিগকে যথাসাধ্য অর্থ ও আহাৰ্য্য দানে পরিতৃপ্ত করিতেন । বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যুর পূর্বে পােচ বৎসর কাল তাহার শরীর অসুস্থ হইয়াছিল। তন্মধ্যে শেষ দেড়বৎসর কাল কাজ কৰ্ম্ম বিশেষ কিছু দেখাশুনা করিতে পারিতেন না। কিন্তু তিনি কুটুম্ব