পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 7 이5 1 চিরদিন বিদেশবাসী হইয়াও জন্মস্থানের প্রতি তঁহার যথেষ্ট অনুরাগ আছে এবং অবসর পাইলেই দেশে গিয়া গ্রামের জলকষ্ট নিবারণকল্পে জলাশয় আদি খনন করাইয়া ও রাস্তাঘাট প্ৰস্তুতের যথাসাধ্য সাহায্য করিয়া গ্রামবাসীর অভাব অভিযোগ মোচনের চেষ্টা করেন। বৰ্ত্তমানে নিজগ্রামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপনের জন্য বিশেষ যত্নবানহইয়াছেন। ইহার একমাত্র পুত্র সতীশচন্দ্র বি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হুইয়া সিরাজগঞ্জেই ওকালতী আরম্ভ করাতে সাধারণের কাৰ্য্য করিবার অধিকতর সুযোগ এবং অবসর ঘটয়াছে। সতীশচন্দ্র ও অল্পসময় মধ্যেই তদীয় কাৰ্য্যকলাপে তিনি যে তঁহার পিতার উচ্চ আদর্শ অনুসরণ প্ৰয়াস তাঙ্গার পরিচয় দিয়াছেন। স্থানীয় উকীল লাইব্রেরীর সুন্দর এবং বৃহৎ দালানটী তাহারই যত্নে ও পরিশ্রমে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং এখন হইতে দুই একটা করিয়া সাধারণ অনুষ্ঠানে তিনি যোগদান করিতেছেন। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় আরবান বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী সম্পাদকের কাৰ্য্য করিতেছেন এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা কেন্দ্ৰ সমিতির মেম্বর মনোনীত হইয়াছেন । সতীশচন্দ্র রংপুর জেলার অন্তর্গত নাওডাঙ্গা নিবাসী কুচবিহারের জমিদার রায় চৌধুৱা প্রমদারঞ্জন বক্সী মহাশয়ের দ্বিতীয় কান্ত শ্ৰীমতী ইন্দুপ্ৰভা দেবীকে বিবাহ করিয়াছেন। কুচবিহারের তৎকালীন মহারাজা স্বৰ্গীয় জিতেন্দ্ৰ নারায়ণ ভূপ বাহাদুর ঐ বিবাহে উপস্থিত ছিলেন এবং মহারাজা ও মহারাণী নব দম্পতিকে মূল্যবান যৌতুক উপঢৌকন দিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন। সতীশচন্দ্রের বর্তমানে তিন পুত্র আশুতোষ, মধুসুদন এবং শিবরাম ও কন্যা যোগমায়া । 臀