পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ቁa বংশ পরিচয় । ইনিও শিশুপুত্ৰ শ্ৰীমান ক্ষেমেন্দ্রমোহন ঠাকুর ও শ্ৰীমান প্রবীরেন্দ্রকে রাখিয়: অকালে পরলোক গমন করিয়াছেন। রাজা সৌরেন্দ্রমোহনের চারি পুত্রের মধ্যে এক্ষণে এক মহারাজ বাহাদুর হস্তার প্রদোৎকুমার ব্যতিত আর কেহই জীবিত নাই । মহারাজা বাহাদুর হস্তার প্রস্থ্যোৎকুমার ঠাকুর কে, টি, রাজা স্যার সৌরেন্দ্রমোহন ঠাকুরের দ্বিতীয় পুত্র। ১৮৭৩ : ན་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । জ্যেষ্ঠতাত Iw মহারাজা যতীন্দ্রমোহন অপুত্ৰক হওয়ায় তঁহাকে পোষ্যপুত্র রূপে গ্ৰহণ করেন, সে কথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। মহারাজা হিন্দু কলেজে বাল্যশিক্ষা প্ৰাপ্ত হন। তৎপরে মিঃ ডব্লিউ, এফ, পিককের নিকট ইংরাজী শিক্ষা করেন। ইনি British India Association এর ভূভপূর্ব সভাপতি । ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার হীরক জুবিলি উপলক্ষে মহারাণীকে লর্ড এলগিনের দ্বারা উক্ত এসোসিয়েনের পক্ষ হইতে অভিনন্দন দিবার জন্য যে প্ৰতিনিধিগণ সিমল শৈলে গিয়াছিলেন ইনি তঁহাদের নেতা ছিলেন । ইনিও ইহার স্বৰ্গগত পিতা ও খুল্লতাতের ন্যায় বিজ্ঞান, শিল্প ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য মুক্তহস্ত। কি সরকারী, কি বে-সরকারী সমস্ত বড় বড় সভাসমিতিতেই প্ৰদ্যোৎকুমার কর্তৃত্বের আসন গ্ৰহণ করিয়া থাকেন। ব্ৰাজভক্তি ঠাকুর বংশের কুল পরস্পরাগত প্ৰথা । মহারাজ প্রস্থ্যোৎকুমারও রাজভক্ত বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। এই অনন্যসাধারণ রাজভক্তির জন্য তিনি সমাট সপ্তম এডওয়ার্ডের রােজ্যাভিষেক উপলক্ষে ১৯৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে সমগ্ৰ কলিকাতা নাসির প্রতিনিধিস্বরূপ লণ্ডন আহুত ও নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । লণ্ডনে অবস্থানকালে মহারাজ প্রদোৎকুমার বাকিংহাম প্রাসাদে সমাটি, সমাজ্ঞী এবং যুবরাজ যুবরাজপীন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ করেন। সম্রাট ওঁহাকে দরবার পদক প্ৰদান করিয়া গৌরবান্বিত করেন। মহারাজ প্রস্থ্যোৎকুমার