পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 Q (re-fab চন্দ্র সরকার মহাশয়েরই বংশধর । বৰ্ত্তমানে ইহারাও এতদঞ্চলের বিশেষ সম্মানিত ও ক্ষমতাশালী জমিদার বলিয়া খ্যাতি অর্জন করিযাছেন। গগনবাবু রামকৃষ্ণ নস্কর মহাশয়ের নিকট চাকুরী করিতে করিতেই কিছু কিছু সম্পত্তি অর্জন করিতে থাকেন। এই সকল সম্পত্তি-অৰ্জন বিষয়ে, নস্কর মহাশয় গগন বাবুকে যথেষ্ট সাহায্য করিতেন । এই ভাবে গগন বাবুর উন্নতির সূত্রপাত হয় এবং পরে তিনি ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপায় প্ৰভূত ধনসম্পত্তি অর্জন করিয়া यक्र । স্বগীয় রামকৃষ্ণ বাবু বিশেষ বিদ্বান ছিলেন না। তখন ইংরাজী শিক্ষার প্রচলন হইয়াছে বটে, কিন্তু উচ্চ শিক্ষালাভেব সুযোগ সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠিত না । তিনি সামান্য বাংল। লেখাপড়া জানিতেন । মফঃস্বলের জমিদারী ব্যতীত তিনি কলিকাতা ও ইহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানসমূহে আরও অনেক সম্পত্তি ক্রয় করিয়াছিলেন। বেলিয়াঘাটায় তাহার প্ৰথম খরিদ জমিজমা ছাড়া তিনি উক্ত জমির সংলগ্ন আরও কিছু ভূখণ্ড ক্রয় করিয়া, তদুপবি একটী সুবৃহৎ দ্বিতল বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া, তাহাতে বসবাস করিতে লাগিলেন। তঁহার সময়ে বেলেঘাটার অবস্থা এত উন্নত ছিল না ও অদূর ভবিষ্যতে હરે मकल ख्भिन्न দর বৃদ্ধি পাইবে এরূপ ধারণা ছিল না। বলিয়া, তিনি এখানকার সম্পত্তি করা অপেক্ষা মফঃস্বলের জমিদারি বৃদ্ধি করাই বেশী লাভজনক মনে করিতেন। সেইজন্যই বেলিয়াঘাটা অঞ্চলে বেশী জমিজমা ক্রয় করিবার জন্য তিনি বিশেষ আগ্রহ প্ৰকাশ করিতেন না। নতুবা তিনি এই অঞ্চলে বিস্তীর্ণ জমিদারির প্রতিষ্ঠা করিতে পারিতেন। তিনি তাহার। ভ্ৰাতৃগণের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ ঔ সর্বাপেক্ষা তীক্ষুবুদ্ধিসম্পদ ও মেধাবী ছিলেন। পিতার জীবিতকালেই তিনি পৈতৃক সম্পত্তি ব্যতীত বহুতর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি স্বীকৃত চেষ্টায় অজািন করিয়া