পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহিষাদল-রাজবংশ ଈ মৃত্যুর পূর্বে তিনি র্তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ কুমার সতীপ্ৰসাদকে হাতে কলমে জমীদারী-পরিচালনার কার্য্য সুন্দ বরূপে শিক্ষা দিয়া যান। কুমার সতীপ্ৰসাদ সুশিক্ষিত ও তীক্ষ্ণবুদ্ধিশালী ছিলেন , সুতরাং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি জমীদারীর কায্যে পারদর্শিতা লাভ করেন। রাজা জ্যোতিঃপ্ৰসাদ তাহার পীড়ার সময়ে জোর করিয়া মহিষাদল-রাজের জমীদারী-পরিচালনের ভার সতীপ্ৰসাদকে অৰ্পণ করেন । ইহার ফলে তিনি জমীদারীর কাৰ্য্যে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেন তাহার সুফল তাহার পিতৃব্যের মৃত্যুর পর সকলের গোচরীভূত হয় । পিতৃব্যের প্রতি কুমার সতীপ্ৰসাদের প্রভূত অনুরাগ ও ভক্তি ছিল। তাহার পিতৃব্য দীর্ঘকাল রোগ ভোগ করিয়াছিলেন। তিনি প্ৰায় অধিকাংশ সময়েই তাহার রোগাৰ্ত্ত পিতৃব্যের রোগ-শয্যা-পাশ্বে বসিয়া তাহার সেবা-শুশষাব্য সহায়তা করিতেন ও তাহাকে সান্তন দিতেন । ধনশালী অভিজাত-সম্প্রদায়ে এরূপ আদর্শ অতীব বিরল। রাজা জ্যোতিঃপ্ৰসাদের শ্ৰাদ্ধ মহিষাদল-রাজের পদমৰ্য্যাদা ও সামাজিক সম্মান অনুসারে বিপুল সমারোহ সহকারে সম্পন্ন হইয়াছিল। রাজা জ্যোতিঃপ্ৰসাদের যখন মৃত্যু হয় তখনও কুমার সতীপ্ৰসাদ প্ৰচলিত আইন-অনুসারে সাবালক হন নাই, সাবালক হইতে র্তাহার তখনও দুই বৎসর বাকী ছিল। সুতরাং প্রশ্ন উঠিল-মহিষাদল-রাজের পরিচালন-ভার কোট অফ ওয়ার্ডসে দেওয়া হইবে কি না ? বৰ্দ্ধমান বিভাগের কমিশনার। ১৯০১ খৃষ্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারী এই সম্পর্কে কুমার সতীপ্ৰসাদকে যে পত্র লিখেন তাহার মৰ্ম্ম এই :-কোট অফ ওয়ার্ডসের হস্তে মহিষাদল-রাজ-এষ্টেটের পরিচালনা-ভার ন্যস্ত করিবার কোনও কারণ আমি দেখিতেছি না। আমি মেদিনীপুরের কালেক্টর মহাশয়কেও লিখিয়াছি যে, কেহ এরূপ প্ৰস্তাব করিলে আপনি তাহাতে কৰ্ণপাত করিবেন না। যদি কোট অফ ওয়ার্ডসে আপনার এষ্টেট যায়,