পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীযুক্ত অতুলচন্দ্ৰ চৌধুরী সন। ১২৮৩ সালের ১১ই চৈত্র শুক্রবা র শুভ রামনবমীর দিবস হুগলী জেলার অন্তর্গত ভাণ্ডারহাটী গ্রামে অতুলচন্দ্ৰ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম উমেশচন্দ্ৰ চৌধুরী ; মাতার নাম গিরিবাল| দেবী। অতুলচন্দ্ৰ যে ব’ শ্বে জন্মগ্রহণ কবিয়াছেন বংশ-মৰ্য্যাদায় সে বংশ খুব প্রাচীন ও উচ্চ। ভাণ্ডারহাটী চৌধুরী-বংশ একটী বিখ্যাত ব’ শী। অতুলচন্ত্রের পিতার অবস্থা তত স্বচ্ছল ছিল না ; ভাণ্ডারহাটতে সামান্য বাসভবন ও জমিজমা ভিন্ন বিশেষ আর কিছু ছিল ন। তিনি কলিকাতার গোপাল চন্দ্র রায় কোম্পানীর কারবারে অংশীদার ছিলেন। অতুলচন্দ্র পিতার একমাত্র পুত্ৰ , অতুলচন্দ্রের তিনটি ভগিনী। অতুলচন্দ্রের পি । প্রথমতঃ অতুলকে গ্ৰাম্য পাঠশালায় ভিত্তি করিয়া দেন। অত:পব ভাণ্ডারহাটী মাইনার স্কুলে প্ৰবিষ্ট হন; তাহাব পর লেখাপড়া শিখিবার জন্য অতুলচন্দ্রের পিতা তাহাকে কলিকাতায় আনে না। বীণাপানির অবাধন করা অতুলচন্দ্রের ভাগ্যে বড় ঘটিব। উঠে নাই। অতুলচন্দ্রের বয়ঃক্রম যখন চৌদ্দ বৎসর মাত্র তখন তাঁহাব পিতৃবিয়োগ ঘটে । সামান্য কিছু লেখাপড়া শিখিবার পরই হঠাৎ ১২৯৭ সালের ২৮শে ফান্তন ইহার পিতা ইহাকে ও তিন কন্যাকে রাখিয়। স্বৰ্গারোহণ কবেন। তখন অতুলচন্দ্র বালক মাত্র ; তঁহার জনৈক পিতৃবন্ধু ৬। তারাচরণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় অতুলচন্দ্রের সাহায্য জন্য তাহার জ্যেষ্ঠভাত-পুত্ৰ অনুকূলচন্দ্ৰ চৌধুরীকে ঐ গোপাল রায় কোম্পানীর কারবাবে রাখিয়া দেন। তারাচরণ বাবুর ঐ কারবারে প্রতিপত্তি ছিল। কিন্তু দুভাগ্যক্রমে ঐ সাহায্য বেশীদিন স্থায়ী হইল না। এক বৎসর পরে তিনি অতুলের সংসার প্রতিপালন করিতে বা তাহাকে পড়াইতে অস্বীকৃত হন।