পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ə. Abr ቕኗሢ-ዏif፭bዟ বয়সে নিজ চেষ্টায় নানা শাস্ত্ৰে বুৎপত্তিলাভ করিয়াছিলেন। তিনি ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে সব রেজিষ্ট্রার কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন এবং ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তঁহার এই কাৰ্য্যকালের অধিকাংশ তিনি স্বগ্রামে যাপন করিঘাছেন এবং সর্বদা দেশের ও দশের শুভানুষ্ঠানে নিরত ছিলেন। গ্রামে শুভকরী সভা-প্রতিষ্ঠাকল্পে আঁর্তাহার ও তদীয় মধ্যমাগ্রজ মহেশচন্দ্রের চেষ্টা পূর্বেই বিবৃত হইয়াছে। বস্তুতঃ তিনিই উহার প্রাণস্বরূপ ছিলেন ও প্ৰতিষ্ঠা-বিষয়ে প্ৰধান উদ্যোগী ছিলেন। পিঙ্গলার মধ্য ইংরাজী স্কুল উচ্চ ইংরাজী স্কুলে পরিণত হইবার পর ইনি তাহার প্রাণস্বরূপ ছিলেন । পিঙ্গলা দাতব্য ঔষধালয়ের ইনি অন্যতম উদ্যোগী। রেশমের চাষ পুনরুদ্ধার-কল্পে ইনি যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছিলেন । পিজলা ও তৎসন্নিহিত গ্রামসমূহে সমবায় সমিতিসমূহ অবিনাশচন্দ্রেরই চেষ্টায় ও যত্নে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইনি পিঙ্গলা সমলায়-তত্ত্বাবধায়ক ইউনিয়নের ও পিঙ্গল সমবায় ধান্যবিক্রয় ও সরবরাহ সমিতির সভাপতি ছিলেন এবং বহুকাল মেদিনীপুর সেন্টাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অন্যতম সুযোগ্য পরিচালক ছিলেন। এইসকল নানা হিতকর কার্য্যানুষ্ঠানজন্য ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে গভর্ণমেণ্ট ইহাকে “রায় সাহেব৷” উপাধি প্ৰদান করিয়াছিলেন। ইনি অতিশয় ধৰ্ম্মপ্রবণ ও পাঠানুরাগী ছিলেন । শেষ বয়সে ঈশ্বরচিন্তায় কালব্যাপন করি%। অবিনাশচন্দ্র অপুত্ৰক অবস্থায় গত ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর তারিখে মানবলীলা সম্বরণ করেন । ৮জগন্মোহনের কনিষ্ঠ পুত্র অঘোরচন্দ্র ১২৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেদিনীপুর জেলার অন্তৰ্গত কঁাখি মহকুমার ব্যবহারাজীব ছিলেন এবং উত্তরোত্তর প্রতিষ্ঠা ও প্ৰতিপত্তি লাভ করিতেছিলেন। দারুণ দুৰ্দ্ধৈব্যবশতঃ ভীষণ গ্ৰহণীরোগে আক্রান্ত হইয়া তিনি অকালে ১৩০২ সালে কালগ্ৰাসে পতিত হয়েন।