পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমানের পালবংশ ♥eዓ@ পতি ভারতবর্ষের পূর্বভােগ প্ৰায় সমস্ত অধিকার করিয়াছেন ; কাশ্মীররাজকুমার জয়াপীড় পৌণ্ডবৰ্দ্ধন অধিকার করিয়াছেন ; দক্ষিণে কলিঙ্গরাজ দণ্ডভুক্তি পৰ্য্যন্ত গ্ৰাস করিয়াছেন ; গুর্জরের বৎসরাজ সমস্ত পশ্চিম ও মধ্যভারত অধিকার করিয়া গৌড় ও মগধের শ্বেতরাজচ্ছত্র দুইটী অধিকার করিয়াছেন। এইসকল বর্ণনা হইতে দেখা যায় যে, সে সময় কেবলমাত্র এই রাঢ়ামণ্ডলেই স্বাধীনতা বিরাজ করিতেছিল। প্রবলের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্য এই রাঢ়ামণ্ডলের সামন্তরাজগণ গোপালদেবকে তঁহাদের অধিনায়কত্বে বসাইয়া এমন একটি প্রবল শক্তিশালী রাজ্য-গঠন করেন যাহা, গোপালদেবের পুত্ৰ ধৰ্ম্মপালের রাজত্ব-সময়ে সমগ্রভারতব্যাপী এক বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত হয় । বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্তসম্পাদিত কৃত্তিবাসী রামায়ণ-পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, উক্ত গ্রন্থের মূল পাণ্ডুলিপি-রচনাকাল ১৫০২ শকাব্দ অর্থাৎ বৰ্ত্তমানকাল হইতে প্ৰায় ৩৫৩ বৎসর পূর্বেও গৌড়ের দক্ষিণে সমুদ্র পৰ্য্যস্ত বিস্তীর্ণ ভূভাগে অর্থাৎ প্রাচীন রাঢ়ামণ্ডলে উগ্ৰক্ষত্ৰিয়জাতির বাইশটি রাজ্যের অস্তিত্বের প্রবাদ এদেশে প্রচলিত ছিল। রজনীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তী-রচিত গৌড়ের ইতিহাসগ্রন্থের ১ম ভাগের ১০৩ পৃষ্ঠায় পশ্চিম রাঢ়ে পাল-সম্রাটগণের অধীন উগ্ৰক্ষত্ৰিয়জাতির কয়েকটি রাজ্যের উল্লেখ দেখা যায়। উগ্ৰক্ষত্ৰিয়জাতির বাইশটী প্ৰসিদ্ধ প্রাচীন বংশের ও তাহদের রাজ্যসম্বন্ধে প্ৰবাদ-বাক্য পূর্বোক্ত দুইটী গ্ৰন্থ ব্যতীত আরও বহু গ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছে। ঘনরাম চক্ৰবৰ্ত্তীও প্রায় দুইশত বৎসর পূর্বেও “বাইশ আগরী আদ্য বিজয় জাইগিরী যার গ” বলিয়া উগ্ৰীক্ষত্ৰিমুজাতির প্রাচীন ও প্ৰসিদ্ধ বাইশটা বংশের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। উপরের বর্ণনাসমূহ হইতে ইহা সিদ্ধান্ত করা অসঙ্গত নহে যে, উগ্রক্ষত্ৰিয়জাতীয় বাইশটা খণ্ডরাজ্যের রাজগণ