পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VV বংশ-পরিচয় প্ৰবলের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্য র্তাহাদের রাঢ়ামণ্ডলের কেন্দ্ৰস্থানীয় বৰ্দ্ধমান অঞ্চলের অধিপতি গোপালদেবকে একই জাতীয় বাইশটী সামন্তরাজ্যের অধিনায়কত্বে আরোপিত করিয়া এক প্ৰবল শক্তিশালী সঙ্ঘের সৃষ্টি করেন। এই কারণেই আমরা “বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি, সজঘং কারণং গচ্ছামি” এই ত্রিশরণের উল্লেখ দেখিতে পাই। এই শক্তিশালী সঙ্ঘ যতদিন অব্যাহত ছিল ততদিন পাল-সম্রাটগণ সমগ্ৰ ভারতে একাধিপত্য স্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন এবং রামপালের পুত্র রাজ্যপালের মৃত্যুতে এই সঙ্ঘের ধ্বংসেই পরবর্তী সম্রাট মদনপালদেবের আমলে সেই সাম্রাজ্য ধ্বংস হইয়া ୪୩୫ । গৌড়ের পালসম্রাটগণের ধৰ্ম্মপাল হইতে আরম্ভ করিয়া মদনপাল পৰ্য্যন্ত সমুদয় নরপতি প্ৰত্যেক শিলালিপি বা প্ৰত্যেক তাম্র-শাসনাদিতে “বৰ্দ্ধমান” শব্দের বিশেষভাবে উল্লেখ আছে । ইহাতে উক্ত পালসম্রাটগণের সহিত বৰ্দ্ধমানের যে অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ ছিল তাহা অনুমান করা কঠিন নহে। এইজন্যই কবি শশাঙ্কশেখর প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বে র্তাহার রচিত ‘গৌড়বিলাস” গ্রন্থে লিখিয়া গিয়াছেন, “বিক্রমী কায়স্থ আর আগরীর জাতি, গৌড়ের ক্ষত্ৰিয় তারা দিগদিগন্ত ভাতি ।” গৌড়ের পালসম্রাটগণ রাঢ়ামণ্ডলের অন্তৰ্গত বৰ্দ্ধমান অঞ্চলের “উগ্রীক্ষত্ৰিয়” নামক বিশিষ্ট শ্রেণীর ক্ষত্ৰিয় ছিলেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্লাবনে এই উগ্রীক্ষত্ৰিয়জাতির সংস্কারাদি যদিও বহুপরিমাণে বিকৃতাবস্থা প্ৰাপ্ত হইয়াছিল। তথাপি উগ্রীক্ষত্ৰিয়গণ যে বিশুদ্ধ এবং বিশিষ্ট শ্রেণীর ক্ষত্ৰিয় তাহা বেদ-উপনিষদাদি গ্ৰন্থ-পাঠে অবগত হইতে পারা যায় । শুক্ল যজুর্বেদের ১২শ অধ্যায়ে ৮৬ মন্ত্রের “উগ্রো মধ্যমশীঃ” বাক্যের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে প্ৰাচীন ভাষ্যকারী শ্ৰীমৎ উবটাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন, “উগ্রক্ষত্ৰিয়ঃ বদ্ধ গোধাঙ্গুলিত্ৰাণ: স এব। বিশিষ্যতো।” আর একজন