পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমানের পালবংশ V) QES করান। ঐ সময়েই বৰ্দ্ধমান অঞ্চলকে সুরক্ষিত করিবার জন্য রাজা হরিপাল তাহার। আর এক ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ গৌরীনারায়ণকে কামারকিতা গ্রামে বসবাস করান। গৌরীনারায়ণ উক্ত কামারকিত গ্রামের সন্নিকটস্থ ফরিদপুরে আপনি নামে জগৎগৌরীমূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠা করাইয় তাহার সেবাকাৰ্য্যে বহুতর মহল-মজকুরাদি অৰ্পণ করেন। রাজা হরিপাল ঐ সময়ে মোগল-পাঠানের সীমান্ত-প্ৰদেশ রক্ষার জন্য মঙ্গলসীমা গ্রামে এবং বৰ্দ্ধমানের পশ্চিমে পানাগড়ে বহুতর পালবংশীয়গণকে বসবাস করান। বাদশাহ জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে যুবরাজ খুরম বিদ্রোহী হইয়া বৰ্দ্ধমান আক্রমণ করিলে রাজা হরিপাল তঁহার পক্ষে যোগদান না। করায় যুবরাজ খুরম কর্তৃক অত্যাচারিত হইয়া বৰ্দ্ধমান হইতে চারিক্রোশ দূরবর্তী হিট্টাগ্রামে নূতন বসবাস স্থাপন করেন। ঐ সময়ে তাহার অধীন কতকগুলি ক্ষত্ৰিয়ও তাহার সহিত হিট্টাগ্রামে গিয়া বাস করিতে আরম্ভ করেন । হিটাগ্রামের পশ্চিমপ্রান্তে যে স্থলে তিনি প্রথম বসবাস স্থাপন করেন। সেই স্থানের নাম শিমুল, সে কারণ তিনি এতদঞ্চলে শিমূলার রাজা হরিপাল বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। বৰ্দ্ধমান অঞ্চলের কবি তৎকালীন প্ৰবাদ অবলম্বন করিয়া শিমুলার রাজা হরিপালের পলায়ন-বৃত্তান্ত তৎপ্রণীত ধৰ্ম্মমঙ্গল গ্রন্থে বৰ্ণনা করিয়া গিয়াছেন। এই শিমূলা আসিবার পথের বর্ণনাপ্রসঙ্গে তিনি ময়না হইতে আসিবার সময় দামোদর ও বদ্ধমান পার হইয়া এবং গৌড় হইতে আসিবার সময় মঙ্গলকোট হইতে গুস্করার রাস্তা ধরিয়া আসিয়া পুণ্যদা বিমলা স্রোতস্বতী খড়ীনদী পার হইয়া আসিবার কথা উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । রাজা হরিপালের পুত্র রাজা মাণিকপাল এবং তৎপুত্র রামচন্দ্ৰ পাল। এই রাজা রামচন্দ্ৰ পাল তাহার রাজ্যমধ্যে বহুস্থানে দেবালয় ও সুবৃহৎ পুষ্করিণীসকল খনন করাইয়া তাহার প্রজাদের সুখসমৃদ্ধি-বৃদ্ধির ব্যবস্থা