পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমানের পালবংশ Vry স্মরণাতীত কাল হইতে বৰ্দ্ধমান অঞ্চলের পালবংশীয় ও কেশবংশীয়গণের এইভাবে একত্র বলি প্রদত্ত হইয়া থাকে। বহুস্থানেই উগ্রীক্ষত্ৰিয়জাতির এইরূপ দুই দুইটী বংশের একত্ৰ বলি প্রদত্ত হইয়া থাকে। ইহার কারণ বৰ্ত্তমান কালের উগ্ৰক্ষত্ৰিয়গণের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। রাজা রামচন্দ্ৰ পালের পুত্র রাজা উদ্ধব পালও তঁহার পিতার ন্যায় প্রজাবৎসল ছিলেন । তিনিও তাহার রাজ্যমধ্যে বহুবিধ সৎকীৰ্ত্তি রাখিয়া যান। উদ্ধব পালের পুত্ৰগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পঞ্চানন পাল এই ংশে প্ৰথম উকিল হয়েন । রাজা উদ্ধব পালের অ্যামলে এদেশে বগীর হাঙ্গামা প্ৰথম আরম্ভ হয় এবং বর্গীদের হস্তে র্তাহার ধনদৌলত আদির বিশেষ হানি হয় । তিনি যথাসময়ে নবাব-সরকারে তঁহার দেয় রাজস্ব দি দিতে না পারায় তাহার বহু জায়গীর নবাব-সরকারে বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্ৰবাদ আছে যে, এককালে তাহার জমিদারী পানাগড়ের সন্নিকটস্থ দামোদর হইতে কাটোয়ার সন্নিকটস্থ ভাগীরথী °र्षJरु दिठ्ठाऊ छिल । এখনও এসম্বন্ধে একটি গল্প প্ৰচলিত আছে যে, রাজা উদ্ধব পালের পত্নী একদা তাহার দ্বিতীয় পুত্র রাধাকান্ত পালের নিকট পরদিনে কাটোয়ায় গঙ্গাস্নান করিতে যাইবার অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করেন। তাহাতে রাধাকান্ত তাহার মাতৃদেবীকে পরদিনে না গিয়া তৃতীয় দিবসে গঙ্গাস্নান করিতে যাইতে বলেন এবং কারণস্বরূপ জানান যে, তিনি খোজ লইয়া জানিতে চান যে, তাহার মাতাকে গঙ্গাস্নান করিতে হইলে অপর কাহারও অধিকারে পদাৰ্পণ করিতে হইবে কি না। পরদিনে রাধাকান্ত প্রকৃতরূপে এসম্বন্ধে সমস্ত তথ্য অবগত হইয়া তাহার মাতৃদেবীকে হিট্ট হইতে বিংশতি ক্রোশদূরবত্তী কাটােয়ায় গঙ্গাস্নান করিতে পাঠাইয়া দেন। এই রাধাকান্ত পাল সম্বন্ধে এখনও এ দেশে প্ৰবাদ আছে,-“রাধাকান্ত, নিতান্ত, কৃতান্ত চাহিতে বাড়া, মারিতে যখন ইচ্ছা!