পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমানের পালবংশ Votr কখনও বিলাস-ব্যসনে আসক্ত হয়েন নাই। জীবনে তিনি কখনও মদ্যস্পর্শ করেন নাই বা চরিত্ৰভ্ৰষ্ট হয়েন নাই। তিনি সর্বদাই সৎসঙ্গ ও সদালোচনায় লিপ্ত থাকিতেন। জীবনে তিনি বহুতর যাগযজ্ঞ ও ব্ৰতাদির অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন । হিট্টাগ্রামে বহু অর্থব্যয়ে তিন বৎসর-ব্যাপী নবরাত্র হরিনামসংকীৰ্ত্তন করাইয়াছিলেন। কলিকাতার ছোট আদালতের প্রধানতম উকিল ৩৮ নং কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রটস্থ পরলোকগত বাবু গোবিন্দপ্ৰসাদ বসু মহাশয় তাহার সর্বাপেক্ষ প্ৰিয়তম বন্ধু ছিলেন। উভয়ে সর্বদা শাস্ত্রালোচনা ও তদভ্যাসে রত থাকিতেন। মৃত্যুর তিন দিবস পূর্বে তিনি তাহার স্ত্রী পুত্ৰ কন্যা ও কৰ্ম্মচারিবৃন্দের সহিত শেষ সম্ভাষণ করিয়া ও সকলের নিকট বিদায় গ্ৰহণ করিয়া করজোড়ে তাহার উপাস্য ব্ৰহ্মণ্যদেবকে স্মরণ করিয়া স্পষ্টস্বরে বলিলেন, “হে ব্ৰহ্মণ্যদেব ! আমি আজীবন আপনাকেই স্মরণ করিয়াছি এবং আপনারই আরাধনা করিয়াছি, আদ্য আমি, আমার এই দেহ এবং প্ৰাণ, মন সমস্তই নিঃশেষে আপনাকে সমৰ্পণ করিতেছি। আমার এই বাক্য সত্য হোক, সত্য হোক, সত্য হোক।” এই উক্তির পর তিনি মৌন অবলম্বন করেন এবং মৃত্যুর সময় পৰ্য্যন্ত অবশিষ্ট তিন দিন আর কোনও আহাৰ্য্য গ্ৰহণ বা কাহারও সহিত কোনও বাক্যালাপ করেন নাই। সন ১৩২৭ সালের ১৪ই ফাঙ্কন রাত্রি S२द्धि সময় তাহার আত্মা ব্ৰহ্মণ্যদেবে লয়প্রাপ্ত হয়। মৃত্যুকালে তিনি প্রভূত বিষয়-সম্পত্তি ও চারি পুত্র এবং বিধবা পত্নীকে রাখিয়া যান। তিনি যেরূপ বিরাটভাবে তাহার মাতৃশ্ৰাদ্ধ করেন তাহার পুত্ৰগণও সেইরূপ বিরাটভাবেই তাহার শ্ৰাদ্ধ ক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ঐ শ্ৰাদ্ধে ৮০/ আৰ্শী মণ ময়দার লুচি, ৮০/ আশী মণ, মৎস্য, ১২৫/ একশত পচিশ মণ সন্দেশ ও তদুপযুক্ত দধি, ক্ষীর ও তারি-তরকারী ইত্যাদি র্তাহার স্বজাতিবৃন্দকে ও দরিদ্র-নারায়ণগণকে ভোজন করান হইয়াছিল।