পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st-stfast রাখা হইয়াছিল। ব্যাঙ্ক হঠাৎ দেউলিয়া হইয়া উঠিয়া যাইতে স্কুল ফণ্ডের টাকাগুলিও নষ্ট হইয়া গেল এবং সেই সঙ্গে স্কুলের আয়ুওकूद्रांझेल । ভূদেববাবুও আবার অভাবের তাড়নায় পড়িলেন। আবার চাকুরীর চেষ্টা আরম্ভ করিলেন। কিন্তু একটী চাকুরীও আর তাহার ভাগ্যে যেন জুটে না ! এই সময়কার ঘটনা সম্বন্ধে ভূদেববাবু তাহার মৃত্যুর কিছু পূর্বে তাহার কোনও অন্তরঙ্গ বন্ধুর নিকট যাহা বলিয়াছিলেন, “বঙ্গভাষার লেখক” নামক পুস্তকে তাহা বর্ণিত হইয়াছে। আমরা উহা নিয়ে উদ্ধত করিলাম :- “কলেজের পাঠ শেষ হইলে, আবার দুঃখের দশা পড়িল । আর তিনি বৃত্তি পান না,- কাজেই আবার নিদারুণ অন্নকষ্ট উপস্থিত হইল। তঁহার (ভূদেববাবুর ) সেকালের ডেপুটী মাজিষ্টর হইবার সাধ ছিল। তাহার মুরুবি রিচার্ডসন সাহেবও তঁহাকে ঐ পদে প্ৰতিষ্ঠিত করিবেন। বলেন । কিন্তু হঠাৎ রিসার্ডসন কলেজের কাজ ত্যাগ করিলেন, অন্য একজন নূতন ইংরেজ অধ্যাপক বিলাত হইতে আসিলেন । তাহার" ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি,-ভয়ঙ্কর ভাব। ভূদেব তঁহাকেই একদিন আপনার চাকুরীর কথা বলেন। তিনি উত্তর দেন,-“আমি চাকুরী কোথা পাইব ? আমি তোমাকে লেখাপড়া শিখাইয়াছি। তুমি সিনিয়র স্কলার হইয়াছ। তোমার দুই চক্ষু, দুই হাত পা আছে, তুমি নিজেচাকুরী খুজিয়া লও। আমার কাছে তোমার চাকুরীর কথা উত্থাপন করিবার কালে তোমার লজ্জিত হওয়া উচিত ছিল ।” ভূদেব কোনও উত্তর না দিয়া, বিষন্নবদনে ঘরে ফিরিলেন। ঘরে গিয়াও সুস্থির থাকিতে পারিলেন না। কারণ, পিতা বিশ্বনাথ তঁহাকে চাকুরী করিবার জন্য সদাই উত্যক্ত করেন। পিতা বলিলেন,-“এ যে আরও দু’বছর কলেজে পড়া তোর পক্ষে