পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తి বংশ-পরিচয় ক্ষুধায় কাতর হইয়া, ঘরে ফিরিলেন। ঘরের নিকটে গিয়া শুনিলেন, পিতা-মাতায় কিঞ্চিৎ কলহ উপস্থিত হইয়াছে। ঘরে আর ভূদেব ঢুকিলেন না। দ্বারদেশেই দাড়াইয়া রহিলেন । মাতা বলিতেছেন,- “বেীকে একবার আনিতে হইবে।” পিতা বলিতেছেন,-“ঘরে আমাদের এক সের চাল নাই। আমি আধ-পেটা খাই, তুমিও আধপেট খাও । এস্থলে বীে আনিয়া ফল কি ?” মা বলিতেছেন“তথাচ বীে আনিতে হইবে । সেও আমাদের সঙ্গে আধ-পেটা খাইয়া থাকিবো।” বাপ বলিতেছেন,-“তোমাদের স্ত্রী বুদ্ধি ; তোমরা সংসার ভাল বুঝি না ; এই ভুদেবের একটী চাকুরী হইলেই, আমি বীে ঘরে আনিব । এখন ক্ষান্ত হও ।” মাতা বলিলেন,-“আমি ক্ষান্ত হইব। না ; আমি যেমন করিয়া হউক,-নিজে না খাইয়া বেীকে খাওয়াইব ।” পিতা এই সময় বলিলেন,-“ছেলেটা যে কি হইয়া উঠিল, তাহা আমি বলিতে পারি না । উহার মুখ চাহিয়া আমরা আছি। কিন্তু এই হতভাগ্য লোকের হতভাগ্য ছেলের আজিও পয়সা আনিবার শক্তি হইল না ।” ভূদেবের বুকে পিতার বাক্য-বাণ বাজিল। ভূদেব ঘরে না। ঢুকিয়া অমনি তথা হইতে প্ৰস্থান করিলেন । হাতে একটাও পয়সা নাই । তিনি পায়ে হাঁটিয়া, যাদৃচ্ছিাক্ৰমে চুচুঁচুড়ায় আসিয়া উপনীত হইলেন। 臀 密 সন্ধ্যার প্রাক্কাল। ভূদেব আপন মনে চুচুড়ার পথে পথে ফিরিতেছেন। কোন চুচুড়াবাসী তাঁহাকে চিনে না। তিনিও তত্ৰত্য কোনও অধিবাসীকে চিনেন না। প্ৰায় ১২ ঘণ্টার অধিককাল তিনি চুচুড়ায় আসিয়াছেন। এ পৰ্যন্ত ভূদেবকে একবার ডাকিয়াও কেহ বলে নাই,-“তুমি কে ? কোথায় যাইবে ? কি উদ্দেশ্যে এখানে আগমন ? কি নিমিত্ত এরূপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছ?”