পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় তুমি সরবৎ পান কর; কিঞ্চিৎ সুস্থ হও; তার পর, অল্প আহার कeि ।” ভূদেবের জন্য অবিলম্বে চিনির সরবৎ এবং বেলের সরবৎ আনীত হইল। স্বতন্ত্র আসনে বসিয়া, ভূদেব তাহ পান করিলেন। এক ঘণ্টার মধ্যে অন্ন প্ৰস্তুত হইল। রাত্ৰি প্ৰায় ৮টা বাজিয়াছে। বৃদ্ধ আপন সন্তানগণের সহিত ভূদেবকে আদরে লইয়া গেলেন। কুমার কাৰ্ত্তিকেয়ের ন্যায় রূপবিশিষ্ট একটী ব্ৰাহ্মণসন্তান আজ দেড়দিন কাল অনাহারে আছেন, আদ্য আহার করিবেন,-ইহা শুনিয়া, ভূদেবকে দেখিবার জন্য অনেক বীে-ঝি একত্ৰ হইলেন। গৃহকত্রী যতদূর সম্ভব, আজ স্বয়ং উত্তমরূপে রন্ধন করিলেন। রূপার থালে অন্ন, দুগ্ধ, ক্ষীর, স্বত, পায়স, সন্দেশ-কিছুরই অভাব ছিল না। ব্যঞ্জন আট রকমের কম। নহে । আদেশমত ভূদেব আসনে উপবিষ্ট হইলেন। কিন্তু অন্নাহার করিবেন কি, চোখের জলে ভূদেবের মুখ-বুক ভাসিয়া গেল। বস্ত্রের দ্বারা ভূদেব যতই চক্ষু মুছেন, ততই চক্ষু দিয়া অবিরামধারে অশ্রু নিৰ্গত হয়। ভূদেব ভাতে হাত দিতে পারিলেন না। বৃদ্ধ জিজ্ঞাসিলেন,- “ভূদেব তুমি কঁাদিতেছ। কেন ? তুমি খাও। কান্না কিসের ?” ভূদেব কঁাদিতে কঁাদিতে উত্তর দিলেন,-“আমার মা খাইতে পান। না-বাবা খাইতে পান না,-স্ত্রী খাইতে পান না,-আমি এ রাজভোগ-বিবিধ বিচিত্ৰ সামগ্ৰী কেমন করিয়া উদারস্থ করব ? আমাকে মোট চালের ভাত, শাক এবং লবণ দিন,-আমি তাহা খাইয়াই প্ৰাণ ধারণ করিব।” বৃদ্ধ ভূদেবকে অনেক বুঝাইলেন। ভূদেব অন্নাহার করিলেন। কিন্তু বেশী খাইতে পারিলেন না। আটভাগের একভাগ সামগ্ৰী, ভূদেবের উদারস্থ হইল কি না সন্দেহ। এই বৃদ্ধের ভবনে, ভূদেব, বৃদ্ধের সন্তান ও নাতিগণের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হইলেন। তিনি এখানে