পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o বংশ-পরিচয় এই নীলমণি দত্ত সম্বন্ধে রমেশচন্দ্ৰ দত্ত স্বয়ং এইরূপ লিখিয়া গিয়াছেন :-অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাৰ্দ্ধকালে যখন ক্লাইব ও ওয়ারেণ হেষ্টিংস পর পর বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন। সেই সময়ে কলিকাতার অধিবাসিগণের মধ্যে নীলমণি দত্তের খ্যাতি-প্ৰতিপত্তি ছিল । লোকের নিকট তিনি নীলু দত্ত নামেই অধিকতর পরিচিত ছিলেন। এই নীলু দত্তের কনিষ্ঠ পুত্ৰই আমার স্বৰ্গগত পিতামহ ৬/পীতাম্বর দত্ত । আমি তাঁহারই মুখে শুনিয়াছি যে, নীলমণি দত্তের বাটী সর্বসাধারণের পক্ষে সর্বদাই উন্মুক্ত ছিল। অতিথিসৎকারপুণ্যে তিনি প্ৰাতঃস্মরণীয় হইয়া পড়িয়াছিলেন । প্ৰত্যহ প্ৰাতে গঙ্গামান করিয়া ফিরিয়া পরে বহু ভদ্রলোক তঁহার বাড়ীতে সমবেত হইতেন । ইহাদের মধ্যে ব্ৰাহ্মণ ও নিষ্ঠাবান হিন্দুর সংখ্যাই অধিক। তখনকার কালে কলিকাতা সহরে র্যাহাদের খ্যাতি-প্ৰতিপত্তি ছিল এমন সকল ব্যক্তিপ্ৰত্যেকই তঁহার বন্ধু ছিলেন। শোভাবাজার-রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ নবকৃষ্ণ র্তাহার যথেষ্ট সম্মান করিতেন এবং মহারাজ নন্দকুমার স্বয়ং তঁহার বাটীতে আসিতেন । নীলমণি দত্ত মহাশয় অতীব উদারপ্রকৃতি ছিলেন। এইজন্য স্বজাতীয় সমাজে যেমন তাহার প্ৰতিষ্ঠা ছিল, তদানীন্তন সম্রান্ত ইংরেজ সমাজেও তেমনি তঁহার সম্মান ও সমাদর ছিল । খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মপ্রচারকগণও র্তাহাকে বন্ধু বলিয়া মনে করিতেন। তৎকালে খৃষ্টধৰ্ম্মের প্রচার একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। এইজন্য ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ একবার প্রসিদ্ধ পাদরী কেরি সাহেবকে বিতাড়িত করিয়া দেন। কেরি সাহেব তখন এই নীলু দত্তের বাড়ীতে আশ্রয় লইয়াছিলেন । ইনি দানে মুক্তহস্ত ছিলেন বলিয়া অত্যন্ত ঋণগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন ; এই ঋণ তিনি পরিশোধ করিয়া যাইতে পারেন নাই। ইহার পুত্ৰ স্বগীয় রসময় দত্ত মহাশয় বড়ই হিসাবী ও বিষয়বুদ্ধি