পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বংশ-পরিচয় । লাগিলেন। তঁহার শিক্ষক ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি সমস্তই খুলিয়া বলিলেন। ঐ সময়ে শিক্ষকের এক আত্মীয় তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঠাকুরদাসকে বলিলেন,-আমি ব্ৰাহ্মণ নহি, শূদ্র । আমাদের রন্ধন করা অন্ন ত আপনি খাইতে পরিবেন না । যদি আমার বাটীতে আপনি নিজের ভাত নিজে রাধিয়া খাইতে পারেন, তাহা হইলে আমি আপনাকে আমার বাড়ীতে থাকিবার স্থান দিতে পারি। ঠাকুরদাস ইহার প্রস্তাব সুবিধাজনক মনে করিয়া ন্যায়ালঙ্কার মহাশয়ের বাস ত্যাগ করিলেন এবং ইহারই নিকট বাস করিতে লাগিলেন । ইহারই আশ্রয়ে থাকিয়া ঠাকুরদাসের দুইবেল আহার ও ইংরেজী লেখাপড়া চলিতে লাগিল । কিছুদিন পরে এই আশ্রয়দাতার সময় মন্দ হইল ; তঁহার আয়ু একেবারে কমিয়া গেল। এই সময়ে ঠাকুরদাসের কষ্টের পরিসীমা ছিল না । কোনও দিন একবেলা আহার জুটিত, কোনও দিন তাহাও জুটিত না । এই সময়ে এক বর্ষীয়সী বিধবা মুড়ি-মুড়কিওয়ালী তাহাকে মধ্যে মধ্যে দিনের বেলায় পেট ভরিয়া ফলার খাওয়াইতেন। কিছুদিন পরে এই আশ্রয়দাতাই তঁহাকে একটি কৰ্ম্ম জুটাইয়া দেন। উহার বেতন হইল মাসিক দুই টাকা। ঠাকুরদাসের আর আহ্নলাদের সীমা রহিল না। তিনি এই আশ্রয়দাতার নিকটেই পূৰ্ববৎ অবস্থান করিয়া বেতনের দুই টাকা প্ৰতি মাসেই মাতার নিকটে পাঠাইতে লাগিলেন। দুই তিন বৎসরের পরেই তাহার বেতন মাসিক পাঁচ টাকা হইল । তখন তঁহার ; জননীর ও ভাইভগিনীগুলির কষ্ট দূর হইল। এই সময়ে ঠাকুরদাসের পিতা রামজয় তর্কভূষণ মহাশয়ও বীরসিংহে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া স্ত্রী-পুত্ৰ-কন্যার সহিত সম্মিলিত হইলেন । কয়েকদিন বীরসিংহে থাকিয়া তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র ঠাকুরদাসকে দেখিবার জন্য কলিকাতায় গমন করিলেন। তিনি ঠাকুরদাসের নিকট উপস্থিত হইলে ঠাকুরদাসের