পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 o পরিচয় ১৯০৭ সালের জুলাই মাসে অবসর গ্ৰহণ করেন। বিরোদার লোকে তঁহাকে দরিদ্রক দোস্ত বা দরিদ্রবন্ধু বলিয়া অভিহিত করিয়াছিল। অতঃপর রমেশচন্দ্ৰ ডিসেণ্টালাইজেশন কমিশনের সদস্য পদে বৃত হন । ১৯০৭ খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে কমিশনের সদস্যগণ বিলাত হইতে বোম্বাই বন্দরে অবতীর্ণ হন। সেই সময়ে রমেশচন্দ্রও বোম্বাই সহরে উপস্থিত হন। ইহার পূর্বে তিনি দক্ষিণ ভারত পরিদর্শন করিয়াছিলেন। মহীশূর, কোচিন, ত্ৰিবন্ধুর প্রভৃতি দেশীয় রাজ্যও তিনি দেখিয়াছিলেন । এই সকল রাজ্যে উপস্থিত হইলে তিনি সসম্মানে অভ্যর্থত হইয়াছিলেন। তিনি সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্যন্ত গমন করিয়াছিলেন। ত্ৰিচিনপল্পী, মাদুরা, তাঞ্জোর এবং কুম্বাকোনামে তিনি বক্তৃতা করিয়াছিলেন। শত শত শিক্ষিত ব্যক্তি র্তাহার বক্তৃতা শুনিয়াছিলেন। মাদ্রাজের প্যাচাইয়াপ্ল কলেজে তিনি ভারতের ইতিহাস অনুশীলন সম্বন্ধে পাণ্ডিত্যপূর্ণ এক বক্ততা করেন, তাহাতে শ্রোতৃবৃন্দ মুগ্ধ হইয়াছিলেন। অতঃপর তিনি ডিসেণ্ট লাইজেশন কমিশনের কাৰ্য্যে আত্মনিয়োগ করেন । কমিশন সমগ্ৰ ভারতবর্ষ ও ব্ৰহ্মদেশ পরিভ্রমণ করেন ও বহু লোকের সাক্ষ্য লয়েন । কমিশন অবশ্য শাসনংস্কার এবং শাসন-নীতির ভিত্তি-সম্প্রসারণের সম্পর্কে অনেকগুলি উৎকৃষ্ট প্ৰস্তাব করিয়াছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাহারা এমন কতকগুলি প্ৰস্তাবও করিয়াছিলেন যেগুলি কাৰ্য্যে পরিণত হইলে বিভাগীয় কমিশনার ও কলেক্টরদিগের স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাইতে পারিত । কমিশনের যে সকল প্ৰস্তাব প্ৰকৃতপক্ষে দেশের হিতকর বলিয়া বুঝিয়াছিলেন রমেশচন্দ্ৰ সেই সকলের সমর্থন করিয়াছিলেন এবং যেগুলি অহিতকর মনে করিয়াছিলেন। সেই গুলির প্রতিবাদ করিয়াছিলেন । এই কমিশনে মাত্র একজন দেশীয় সদস্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু সেই একজন-একজনের মত একজন-রমেশচন্দ্ৰ