পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፪ማ-ግfጳbጃ ! পুর্বে গণনা করিয়া বলিয়াছিলেন যে, ভগবতী দেবীর গর্ভে দয়ার অবতার জন্মগ্রহণ করিবেন। উত্তরকালে তঁহার এই ভবিষ্যদ্বাণী যে ফলবতী হইয়াছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। পিতামহ রামজয় তাহার এই পৌত্রের নাম রাখিয়াছিলেন-ঈশ্বর । পঞ্চম বৎসরে গ্ৰাম্য পাঠশালায় ঈশ্বরচন্দ্রের বিদ্যারম্ভ হয়। পাঠশালাতেই তঁহার প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তিন বৎসরে তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করেন । তিনি বাল্যকালে অত্যন্ত দুষ্ট ছিলেন, তাহার দুষ্টামির জালায় পাড়ার লোক অস্থির হইত। পাঠশালার বিদ্যা শেষ হইলে গুরুমহাশয় ঠাকুরদাসকে বলেন,- এখানকার পড়া শেষ হইয়াছে। বালক বড় বুদ্ধিমান । ইহাকে আপনি কলিকাতায় লইয়া গিয়া ইংরাজী লেখাপড়া শিখাইবার ব্যবস্থা 币郊可计 কলিকাতায় আগমন ১২৩৬ সালের কাৰ্ত্তিক মাসের শেষে ঠাকুরদাস ঈশ্বরচন্দ্ৰকে কলিকাতায় লইয়া আসেন। তখন তঁাহার বয়স ৮ বৎসর মাত্র। তখন হঁাটা পথে কলিকাতায় অ্যাসিতে হইত। পথে আসিতে আসিতে ’মাইল-ষ্টোনে।” অঙ্কিত সংখ্যা দেখিয়া তিনি ইংরেজীর ১ হইতে ১০ পৰ্য্যন্ত অঙ্ক শিখিয়া লইয়াছিলেন । ঈশ্বরচন্দ্ৰ কলিকাতায় আসিয়া র্তাহার পিতৃদেবের আশ্রয়দাতা ভাগবতচরণ সিংহের বাটীতেই আশ্রয় পাইলেন । সিংহ-পরিবার তঁহাকে অত্যন্ত মেহের চক্ষে দেখিতেন । বিশেষতঃ সিংহমহাশয়ের কন্যা রাইমণি ঈশ্বরচন্দ্ৰকে পুত্ৰাধিক ভালবাসিতেন । কলিকাতায় আসিবার পর প্রথম তিন মাস ঈশ্বরচন্দ্ৰকে কোনও স্কুলে ভৰ্ত্তি করা হয় নাই, সেই জন্য এই তিন মাসকাল তিনি নিকটবৰ্ত্তী একটী পাঠশালায় পড়িতে যাইতেন। ফাস্তুন মাসে। তঁহার ভীষণ