পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q R द९-°द्रिष्ध ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে গুরুদাস এম-এ ও ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে গুরুদাস প্রেমচাঁদ রায়চাদ বৃত্তি পরীক্ষা দিবার জন্য উপস্থিত হন, কিন্তু আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয় ( বিচারপতি আশুতোষ নহেন ) বৃত্তি লাভ করায় তিনি তাহাতে অকৃতকাৰ্য্য হন । এস্থলে আর একটী কথা বলা প্ৰয়োজন যে, বি-এ পাশ করিবার অব্যবহিত পরেই গুরুদাস প্রেসিডেন্সী কলেজে অস্থায়ী অধ্যাপক-পদে৷ নিযুক্ত হইয়াছিলেন। মহাকবি নবীনচন্দ্ৰ সেন তখন তাহার ছাত্ৰ ছিলেন। ১৮৭৬ খ্ৰীষ্টাব্দে গুরুদাস আইনের অনার্স পরীক্ষায় পাশ হন। ১৮৭৭ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি ডি-এল উপাধি পান। তখন তিনি হাইকোর্টের উকিল। ১৯০৮ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি পি-এইচ-ডি উপাধি লাভ করেন। এমএ পরীক্ষা পাশ করিবার পরও গুরুদাস পুনরায় প্রেসিডেন্সী কলেজে গণিতের অস্থায়ী অধ্যাপক-পদে নিযুক্ত হন। গুরুদাসের এইবার অধ্যাপকতা-পদ-লোভ-সম্বন্ধে একটি মজার গল্প প্ৰচলিত আছে। প্রেসিডেন্সী কলেজে অস্থায়ীভাবে একজন গণিতের অধ্যাপক প্রয়োজন -এই কথা শুনিয়া গুরুদাস ডিরেক্টরের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তখনকার দিনে শীতকালে ভদ্রলোকের পোষাকই ছিল একখানি লাল বনাত ও সাদা ধুতি । গুরুদাসও একখানি লাল বনাত গায়ে দিয়া, একখানি সাদা ধুতি পরিয়া ডিরেক্টর মহোদয়ের নিকট উপস্থিত হন। ডিরেক্টর তঁহাকে দেখিয়াই ভাবিলেন, এ ব্যক্তি বোধ হয় কোন ও টোলের পণ্ডিত । কাজেই গুরুদাস যখন ষাইয়া ডিরেক্টরকে বলিলেন, “আপনার অধীনে একটি অধ্যাপক-পদ খালি আছে, আমি সেই পদপ্রার্থী হইয়া আসিয়াছি।” তখন গুরুদাসের সেই কথা শুনিয়াই ডিরেক্টর একটু বিরক্তির সহিত বলিলেন, “ন গো মহাশয় আমার অধীনে কোন পণ্ডিতের প্রয়োজন নাই।” ডিরেক্টরের কথা শুনিয়া গুরুদাস বলিলেন,