পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। У бечу “আমি পণ্ডিত নহি, প্রেসিডেন্সী কলেজে যে অধ্যাপকের পদ খালী আছে আমি সেই পদের জন্য আসিয়াছি, আমি একজন এম-এ” । “এম-এ”- এই কথা অস্ফুটম্বরে উচ্চারণ করিয়া ডিরেক্টর মহাশয় তাহাকে বসিতে ইঙ্গিত করিলেন এবং তঁাহার যোগ্যতার বিষয় শুনিয়া তৎক্ষণাৎ তাহাকে উক্ত পদে নিযুক্ত করিলেন। এই সময়ে তাহার নিকট রমেশচন্দ্ৰ দত্ত, বিহারীলাল গুপ্ত এবং আনন্দচন্দ্ৰ বড়য়ে প্রভৃতি পরবত্তী কালের দেশপ্ৰসিদ্ধ মনীষিগণ গণিত শিক্ষা করেন । রমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের অঙ্কে বিশেষ অধিকার ছিল না । ইহা দেখিয়া গুরুদাস বলেন, “দেখ রমেশ, এফ-এ পরীক্ষার গণিতে প্ৰস্তুত হইবার জন্য নিউটন বা ল্যাপলাসের মত মস্তিষ্ক না থাকিলেও চলে, কেবল একটু চেষ্টা ও একটু মনোযোগ যদি দাও, তবে অনায়াসেই তাহাতে বুৎপত্তি লাভ করিতে পার।” গুরুদাসের মুখে আশার কথা শুনিয়া রমেশচন্দ্ৰ অঙ্কের প্রতি মনোযোগ দিলেন। পরবর্তী কালে তিনি অঙ্কশাস্ত্ৰে এতাদৃশ অধিকার লাভ করিয়াছিলেন যে, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি গণিতে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করিয়াছিলেন। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি জেনারল এসেমন্ত্রী ইনষ্টিটিউশনে (এক্ষণে স্কটিশ চার্চ কলেজ) গণিতের অধ্যাপক-পদে নিযুক্ত হন। এই পদে তিনি পাচমাসিকাল কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। পঞ্জাব চীফ কোর্টের বিচারপতি প্রতুলচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় তখন র্তাহার ছাত্র ছিলেন। আর স্কুল ও কলেজ-জীবনে যিনি তঁাহার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেই নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয় তখন উক্ত কলেজের দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক-পদে নিযুক্ত হন। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বি-এল পরীক্ষা পাশ করিবার পর গুরুদাস জেনারেল এসেমব্লি ইনষ্টিটিউটশনের অধ্যাপকতা পরিত্যাগ করিয়া আইন-ব্যবসায়ে যোগদান করিতে সঙ্কল্প করেন। কিন্তু শিক্ষকতার প্রতি র্তাহার এতটা অনুরাগ ছিল যে, তিনি পাটনা কলেজে একটি অধ্যাপক-পদ শূন্য আছে ও গৌহাটী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ ও শূন্য