পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থ্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয় উক্ত বৃত্তি লাভ করায় তিনি বিফলমনোরথ হইয়া ফিরিয়া যান। বহরমপুরে ফিরিয়া গুরুদাস সংস্কৃত শিক্ষার প্রতি মনোনিবেশ করেন। স্বৰ্গীয় পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন তখন বহরমপুরে অবস্থান করিতেছিলেন । গুরুদাস স্কুলের ছাত্রের ন্যায় তাহার নিকট অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। সংস্কৃত সাহিত্যে বুৎপত্তি লাভ করিয়া তিনি “দায়ভাগ”-অধ্যয়নে মনোনিবেশ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে শকুন্তলা, রঘুবংশ, কুমারসম্ভবাদি নাটকও অধ্যয়ন করিলেন। এই সংস্কৃতশিক্ষা বিফল হয় নাই। একবার পিতৃগৃহে থাকিয়া একটি স্ত্রীলোক তাহার স্বামীর সম্পত্তি উপভোগ করিবার জন্য আদালতে নালিশ করিলে গুরুদাস শকুন্তলার একটি মাত্ৰ শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া “ম্যাজিষ্ট্রেটের মনে ধারণা করিয়া দিয়াছিলেন যে, স্ত্রীলোক হাজার সতী হইলেও কেবলমাত্র পিতৃগৃহে থাকিলে লোকে তাহাকে অসতী বলিয়া সন্দেহ করে । শ্লোকটী এই— “সতীমপি জ্ঞাতিকুলৈক সংশ্রয়াং জন্যোনথা ভর্তুমতীং বিশঙ্কতে অতঃ সমীপে পরিণে তুরিষ্যতে প্রিয়াহপ্ৰিয়া বা প্ৰমদাম্ববন্ধুভিঃ’ এই মোকদ্দমায় গুরুদাপ জয়ী হইয়াছিলেন। ফলে সমগ্র বহরমপুর জেলায় তঁাহার নাম ছড়াইয়া পড়িয়াছিল । স্যর গুরুদাস কখনও উপকারীর উপকার বিস্মৃতি হইতেন না । কলিকাতা হাইকোটে যখন তিনি বিচারপতি তখন পণ্ডিত রামগতি র্তাহাকে লেখেন, “কর্তৃপক্ষ আমার মাসিক পেন্সনের পরিমাণ ত্ৰিশ টাকা কমাইয়া দিয়াছেন, অতএব তুমি যদি একবার শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া এ বিষয়ে ডিরেক্টরের দৃষ্টি ‘আকৃষ্ট কর, তাহা হইলে আমার পূর্ণ পেন্সন হইতে পারে।” স্তর