পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থ্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় SC উকিল-সভা বা বার লাইব্রেরী ছিল না। আদালতের প্রবীণ উকিলগণ অবসরকালে আদালতের বারান্দায় বসিয়া বিশ্ৰাম্ভালাপ করিতেন। আর নবীন উকিলগণ জজের কেরাণীর ঘরে বসিয়া গল্প-গুজবে সময় অতিবাহিত করিতেন। নবীন উকিলগণের এই সভাকে “নবরত্বের সভা”—এই আখ্যায় আখ্যায়িত করা হইত। জজ-আদালতের প্রধান কেরাণী বৈকুণ্ঠনাথ নাগ এই সভার পৃষ্ঠপোষকতা করিতেন। গুরুদাসবাবুও এই নবরত্ন সভার একজন সভ্য ছিলেন। তিনি এই সভাকে লক্ষ্য করিয়া একটি কবিতা লিখিয়াছিলেন। কবিতাটা এই-- “উঠ বঙ্গভূমি মাতঃ ঘুমায়ে থেক না। আর, অজ্ঞান তিমিরে তব সুপ্ৰভাত হ’ল হের । হেঁয়ালীতে গুরুদাস if( \fase বিক্রমাদিত্য নৃপমণি হারায়ে ওগো জননি ছিলে বড়ই কাতর সেই রাজা পুণ্যবান व्यभि श्वाँ नन्नन् বৈকুণ্ঠেতে অধিষ্ঠান হ’য়েছেন। এইবার ল’য়ে নবরত্নগণে बन्धं ख्व्°८ নানা সমস্যা পূরণে ब'gलgछन १jनर्वांङ्ग। এই সভাতে অন্যান্য অনেক হাস্য-পরিহাসের মধ্যে হেঁয়ালী-সমস্যা রচিত ও তাহার উত্তর প্রদত্ত হইত। গুরুদাস হেঁয়ালি রচনায় ও পূরণে সুদক্ষ দিলেন। প্ৰসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ রামদাস সেন মাইকেল মধুসুদন দত্তের সম্বন্ধে একটি কবিতা লিখিয়াছিলেন, গুরুদাস তাহা ইংরাজীতে অনুবাদ করিয়াছিলেন। শুরুদাস মাইকেল মধুসূদনের একজন পরম ভক্ত ছিলেন। কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথকেও তিনি যথেষ্ট উৎসাহ দিতেন।