পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኜጋ” Sማ†-ጝfቑb፪ !' স্বহস্তে লিখিয়া লইতেন। পুথির লেখা দেখিয়া সকলে তঁহার প্রভূত প্ৰশংসা করিতেন । ভ্ৰাতৃবাৎসল্য এই সময়ে ঈশ্বরচন্দ্রের মধ্যম ভ্ৰাত দীনবন্ধু শিক্ষার্থ কলিকাতায় আগমন করেন। সিংহবাবুদের বাটীতেই বাসা। দীনবন্ধুও এই বাসাতেই আসিয়া উঠিলেন। এই সময়ে দীনবন্ধুকে লইয়া বাসায় চারিটীি লোক হইল। ঈশ্বরচন্দ্ৰ এই চারিজনের জন্য ভাত রাধিতেন, বাজার করিতেন, স্বহস্তে কাঠ চালা করিতেন এবং বাটনাও বাটতেন। কিন্তু ইহাতে র্তাহার অসীম আনন্দ হইত। তিনি রন্ধনের বা পাঠাভ্যাসের ক্লেশকে কখনও ক্লেশ বলিয়া মনে করিতেন না । ইহার কিছু দিন পরে তঁহার তৃতীয় ভ্ৰাতা শাস্তুচন্দ্ৰও অধ্যয়নের জন্য কলিকাতায় আসেন। সিংহবাবুদের বাটীর সম্মুখে তিলকচন্দ্র ঘোষ নামক জনৈক ভদ্রলোকের বাটীর নিম্নতলে একটি ঘরে ঈশ্বরচন্দ্ৰ শয়ন করিবার আদেশ পাইয়াছিলেন। পাঠাভ্যাসে। তঁহার অসামান্য যত্ন ছিল। কলেজে যাইবার ও কলেজ হইতে আসিবার সময়ে তিনি পুস্তক খুলিয়া পড়িতে পড়িতে যাইতেন ও আসিতেন। র্তাহার জননী চরকায় সুতা কাটিয়া, সেই সুতায় কাপড় তৈয়ারী করিয়া পঠাইয়া দিতেন, ঈশ্বরচন্দ্ৰ তাহাই পরিতেন। এই মোটা কাপড় ও চাদর বড় হইয়াও তিনি ত্যাগ করেন নাই। বিলাস-স্পৃেহা তাহার একেবারেই छेित् । । বিদ্যাভ্যাসে ঈশ্বরচন্দ্রের ক্রটি ছিল না । একটু ক্ৰটি যদি দৈবাৎ ঘটিত, তাহা হইলে পিতা ঠাকুরদাস অত্যন্ত কঠোর শাসন করিতেন। তিনি পিতার শাসনকে অত্যন্ত ভয় করিতেন । কাব্য ও ব্যাকরণে ঈশ্বরচন্দ্রের অসাধারণ অধিকার জন্মিয়াছিল। তিনি অতি অল্প বয়সেই উৎকৃষ্ট সংস্কৃত কবিতা রচনা করিতে পারি