পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বম্ভর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় Sዓo দেন। তবে আপনাকে শতকরা মাসিক তিন টাকা হিসাবে ছয় শত টাকা সুন্দ দেওয়া হইবে। গুরুদাসবাবুর জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল যে, তিনি কাহাকে ৎ এক পয়সা ধার দিবেন না কিংবা কাহারও নিকট হইতে এক পয়সা ধার গ্রহণ করিবেন না। তিনি অতি বিনয়-নিম্রভাবে নবাবের প্রাইভেট সেক্রেটারীকে বলিলেন যে, তিনি এই প্ৰস্তাবে সম্মত হইতে পারেন না। স্যর গুরুদাসের আত্মসম্মান-জ্ঞান এত প্রবল ছিল যে, তিনি কাহারও নিকট হইতে কখনও কোনও অনুগ্রহ প্রার্থনা করিতেন না । এস্থলে একটি ঘটনার উল্লেখ করা যাইতেছে। ঘটনাটী এই, যখন তিনি কলিকাতা হাইকোটের উকিল তখন তিনি একজন জেলা-জজের এজলাসে একটি মোকদ্দমায় উপস্থিত হন। স্যর গুরুদাসের অল্প বয়স এবং বালকের ন্যায় আকৃতি দেখিয়া বিচারকের মনে সন্দেহ হয়-তিনি হাইকোটের উকিল কি না । তিনি একটু সন্দিগ্ধভাবে গুরুদাসবাবুকে বলিলেন, “আমি কেমন করিয়া জানিব যে, আপনি হাইকোর্টের একজন উকিল ?” স্যর গুরুদাস বলিলেন, “আমার জুনিয়র উকিল এই আদালতের একজন উকিল, তিনিই বলিবেন আমার কথা সত্য কি না ?” বিচারক তাহাতেও সন্তুষ্ট হইলেন না। তখন গুরুদাস বাবু দৃঢ়তার সহিত বলিলেন, “বেশ কথা, আমি এইখানে আপনার সম্মুখে হাইকোর্টের উকিল বলিয়া দাড়াইতেছি, আপনি আমাকে জালিয়াতির অপরাধে গ্রেপ্তার করিতে পারেন।” ইহা শুনিয়াই বিচারক চুপ করিলেন।” লেপ্টন্যান্ট করনেল ডাক্তার স্বৰ্গীয় সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী সি-আই-ই, এম-ডি, আই-এমএস গুরুদাসে। পীড়িতাবস্থায় তাহার চিকিৎসা করিয়াছিলেন। তিনি বলেন, স্যর গুরুদাস রক্তামাশয়রোগে আক্রান্ত হইয়া চিকিৎসার্থ -আমাকে আহ্বান করেন। আমি দুই তিন দিন চিকিৎসা করিবার অস্তিমশয্যা