পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ፃ8 পর যখন কোনও মতেই তাহাকে আরোগ্যের পথে আনিতে পারিলাম না, তখন গুরুদাসবাবু আমাকে বলিলেন, “ডাক্তারবাবু! আপনি কি আমাকে নিরাময় করিতে পারিবেন বলিয়া ভরসা দিতে পারেন ?” আমি বলিলাম, “তা কিরূপে পারিব ?” তখন গুরুদাসবাবু বলিলেন, “যখন আপনি আমার জীবনের আশা দিতে পারেন না, তখন আমাকে গঙ্গাতীরে যাইতে দেন না কেন ? আমি নীরব রহিলাম। তৎপরদিন তঁহার ইচ্ছানুসারে তঁাহাকে তঁাহার গঙ্গাতীরস্থ অট্টালিকায় স্থানান্তরিত করা হইল। মুক্ত বাতায়নের মধ্য দিয়া ক্ষুদ্র বীচিমালাবিক্ষোভিত দেবী সুরধুনির অপরূপ শোভা দেখিয়া মহাত্মা গুরুদাস ক্ষণিকের জন্য রোগ-যন্ত্রণা বিস্মৃত হইলেন। র্তাহার মুখের ভাব দেখিয়া পুত্রদের এবং আত্মীয়-স্বজনের কাহারও বুঝিবার উপায় ছিল না। LBBS DBD DD DBB DDD gD BDBD S DBBBDDDSSDDDD DBB BBB এক ঘটিকার সময় তাহার পেন্সনের চেক আসিয়া উপস্থিত হইল । তিনি তাহা জানিতে পারিয়া আমাকে বলিলেন, “ডাক্তারবাবু আমি চেকে সহি দিতে পারি কি না ? আমি সম্মতি দেওয়ায় তিনি ধীরে ধীরে চেকখানি লইয়া আপন নাম স্বাক্ষর করিয়া বলিলেন; “ডাক্তারবাবু, আমার এই শেষ পেনসন হইয়া গেল।” শুনিয়া সকলে আশ্চৰ্য্য হইবেন মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে স্যর গুরুদাস চেকে যে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন তাহার পূর্ব পূর্ব স্বাক্ষর অপেক্ষা উহার কোনও অংশেই ব্যতিক্রম হয় নাই। বলা বাহুল্য, সেই স্বাক্ষরে ব্যাঙ্ক হইতে চেকের টাকা মিলিয়াছিল। বেলা এক ঘটিকার সময় তিনি পেন্সনের চেকে স্বাক্ষর করিলেন। তাহার পর গঙ্গার দিকের জানালা খুলাইয়া তিনি নিৰ্ণিমেষনেত্রে সেদিকে তাকাইয়া রহিলেন। র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ গীতা পাঠ করিতে লাগিলেন। তিনি কাহারও সহিত বাক্যবিনিময় না করিয়া একমনে গীতা-পাঠ শ্ৰবণ,