পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর। তেন। তঁহার এই সকল কবিতা তদানীন্তন প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিতগণের ও: বিস্ময় উৎপাদনা করিত । दिदाश् এই সময়ে ক্ষীরপাই-নিবাসী শক্রিস্ত্ৰ ভট্টাচাৰ্য্যের কন্যা দীনময়ীর সহিত ঈশ্বরচন্দ্রের বিবাহ হয়। এ বয়সে। তঁহার বিবাহ করিবার ইচ্ছা! ছিল না ; কিন্তু পিতার অনুরোধে তিনি বিবাহ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র যখন অলঙ্কার-শ্রেণীতে প্ৰবেশ করেন, তখন তঁহার বয়স পঞ্চদশ বর্ষ। এক বৎসরের মধ্যে তিনি সাহিত্যদর্পণ, কাব্য প্ৰকাশ, রসগঙ্গাধর প্রভৃতি অলঙ্কার-গ্ৰন্থ পাঠ করেন এবং বাৎসরিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পারিতোষিক প্ৰাপ্ত হন। এই সময়ে তিনি কলেজে মাসিক ৮২ টাকা বৃত্তি পাইতেন। বৃত্তির সমস্ত টাকা তিনি পিতার হাতে দিতেন। তঁহার প্রথমাবস্থার বৃত্তিলব্ধ টাকায় পিতা ঠাকুরদাস বীরসিংহ গ্ৰামে কিছু জমি কিনিয়াছিলেন। ইহাতে র্তাহার টোল বসাইবার সঙ্কল্প ছিল। পরে ঈশ্বরচন্দ্ৰ যে বৃত্তির টাকা পাইতেন, পিতা তাহার সমস্ত লইতেন না। বৃত্তির টাকায় তিনি কতকগুলি হস্তলিখিত পুথি কিনিয়াছিলেন ; সেগুলি তঁাহার লাইব্রেরীতে ছিল। বাল্যকাল হইতেই তিনি পরদুঃখমোচনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। বৃত্তির যে সামান্য টাকা । তঁহার পিতা তঁহার নিকট হইতে লইতেন না, সেট টাকায় তিনি পরের দুঃখমোচন করিতেন। কাহারও রোগ হইলে ঈশ্বরচন্দ্ৰ তাহার সেবাশুশ্ৰষা করিতেন। কোনও ব্যক্তির সংক্ৰামক পীড়া হইলে অপর কেহ । তাহার নিকটে যাইতে ভয় করিত, কিন্তু তিনি অসঙ্কোচে তাহার মলমূত্ৰাদি পৰ্যন্ত পরিস্কার করিতেন। পরের দুঃখ দেখিলে তিনি অস্থির হইয়া পড়িতেন, তাহার চোখ ফাটিয়া জল বাহির হইত। বাল্যকালে ঈশ্বরচন্দ্রের সখ ও সাধের মধ্যে ছিল, কবির গান