পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর Sዓ ইহার নাম ছিল-হিন্দু বালিকাবিদ্যালয়। ২৫টি ছাত্রী লইয়া৷ ” এই विमावलग्न ७यउिछैिटौं श्हेब्रछिल । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার-পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার সময়েই তিনি সংস্কৃত কলেজের জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগের বার্ষিক “পরীক্ষাগ্ৰহণের ভার প্রাপ্ত হন । তিনি ও জৰ্ম্মণ পণ্ডিত ডক্টর রোয়ার ঐ দুই পরীক্ষার প্রশ্নপত্ৰ প্ৰস্তুত করিতেন। প্রশ্নপত্ৰ তৈয়ার করিবার জন্য উভয়ে সম্মানস্বরূপ কিছু কিছু অর্থ পাইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরমহাশয় উহা সৎকাৰ্য্যে ব্যয় করেন । সিনিয়র পরীক্ষায় রামকমল ভট্টাচাৰ্য্য কাব্যে ও অলঙ্কারে সর্বপ্রথম হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর ঐ টাকা হইতে র্তাহাকে সমগ্ৰ সংস্কৃত মহাভারত কিনিয়া দিয়াছিলেন ; অতঃপর যে অর্থ উদ্ধৃত্তি ছিল তাহা গরীব-দুঃখীকে দান করিয়াছিলেন । পুত্রের জন্ম ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ই নভেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণচন্দ্ৰ জন্মগ্রহণ করেন । ইহার কিছুদিন পরে তঁাহার। অষ্টমবর্ষীয় পঞ্চম সহোদর হরিশচন্দ্ৰ বিসূচিকারোগে প্ৰাণত্যাগ করেন। ইহাতে তিনি অত্যন্ত বিমর্ষ হইয়া পড়েন । তিনি শোকাতুর জননীকে সাত্ত্বিনা দিবার জন্য তঁহাকে কলিকাতায় লইয়া আসেন । ৫/৬ মাস কলিকাতায় থাকিয়া তিনি বীরসিংহে ফিরিয়া যান । ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দের ১০ই সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগর-রচিত ‘জীবন-চরিত।” প্ৰকাশিত হইয়াছিল। রবাট ও উইলিয়াম চেম্বাস-কৃত জীবন-চরিত্যের কতিপয় চরিত্র-অবলম্বনে “জীবন-চরিত’ রচিত। প্ৰধানতঃ ইহাও অনুবাদ। কিন্তু এই অনুবাদে বিদ্যাসাগরের লিপিকৌশল ও কৃতিত্ব পরিস্ফুট। ‘জীবন-চরিতে” কেবল বিদেশীয় প্ৰসিদ্ধ ব্যক্তিগণের জীবনী লিপিবদ্ধ হইয়াছিল । R