পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর RR) ছোট লাট হালিডে সাহেবের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় কয়েক মাস ইয়ং সাহেবকে শিক্ষাবিভাগের কাৰ্য্য শিক্ষা দেন । হালিডে সাহেব বিদ্যাসাগর মহাশয়কে প্ৰভূত সন্মান করিতেন। প্রতি বৃহস্পতিবারে তিনি হালিডে সাহেবের বাটীতে গিয়া সাক্ষাৎ করিতেন । তিনি চিটিজুতা পায়ে দিয়া ও মোট চাদর পরিয়া ছোটলাট সাহেবের সহিত দেখা করিতে যাইতেন । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় হ্যালিডে সাহেবের কথায় বহু স্থানে বহু বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত করেন । এইসকল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মাসিক বেতনের জন্য “বিল” করিয়া পাঠাইলে শিক্ষাবিভাগের নূতন ডিরেক্টর ইয়ং সাহেব তাহা মঞ্জুর করেন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহা জানিতে পারিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তিনি অবিলম্বে এই ব্যাপার ছোটলাট হালিডে সাহেবের গোচর করেন। কিন্তু ছোটলাট বাহাদুর তাহার কোনও প্ৰতিকার করিলেন না ; বরং বলিলেন, আপনি নালিশ করিয়া টাকা আদায় করুন । কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহ করেন নাই। তিনি ঋণ করিয়া শিক্ষকদিগের প্রাপ্য বেতনের টাকা মিটাইয়া দেন। এই ব্যাপারে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত ইয়ং সাহেবের মনোবাদ হয়। ক্ৰমে ইহা প্ৰবল হইয়া উঠে শুনা যায়, ইয়ং সাহেব সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের বেতন বৃদ্ধি করিতে চাহিয়াছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়াছিলেন । সরকারী চাকুরী ত্যাগ স্পেশ্যাল ইনস্পেক্টর হিসাবে বিদ্যাসাগর মহাশয় যে রিপোর্ট লিখিতেন, ইয়ং সাহেব তাহার সম্বন্ধে আপত্তিকর মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । হ্যালিডে সাহেবের নিকটে অভিযোগ করিয়াও কোনও ফল হইল না। কাজেই তেজস্বী বিদ্যাসাগর আত্মমৰ্য্যাদা রক্ষার জন্য