পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর V6 টাকা ধারিতেন। তারাচাদ উভয়ের নামে নালিশ করিয়া “ ডিক্ৰী” পান। পরে ঐ দুইজন দেনাদার ওয়ারেণ্টে গ্ৰেপ্তার হইয়াছিলেন। ইহারা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরণাপন্ন হইলে ৫০০২ টাকা নিজ জামিনে অপরের নিকট হইতে ঋণ দেওয়াইয়া ইহাদিগকে বিপন্মুক্ত করেন। কিন্তু পরে এই টাকা ইহারা পরিশোধ করেন নাই। সুতরাং বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই টাকা পরিশোধ করিতে হইয়াছিল। (২) একবার পণ্ডিত জগন্মোহন তর্কালঙ্কার ৫০০২ টাকার জন্য বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন তিনি বিদ্যাসাগরমহাশয়ের নিকট কঁাদিয়া কঁাটিয়া পড়েন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ৫০০২ টাকা ধার করিয়া তাহাকে দিয়াছিলেন । ইহার পরে তর্কালঙ্কা<ের সহিত আর র্তাহার সাক্ষাৎ হয় নাই । (৩) এক সময় জাহানাবাদের নিকটবৰ্ত্তী কোনও গ্রাম-নিবাসী এক ব্ৰাহ্মণ দুই শত টাকা ঋণগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। পাওনাদারদিগের তাগাদার চোটে তিনি উদ্ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর র্তাহাকে এই টাকা দিয়া উদ্ধার করিয়াছিলেন । ছাত্ৰগণকে সাহায্য-দান এইরূপ সাহায্যদান ব্যতীত বহু দরিদ্র ছাত্র তাহার নিকট মাসিক বৃত্তি পাইত। অনেক দরিদ্র লোককে বিদ্যাসাগর অর্থসাহায্য করিতেন। কলিকাতা সহরে তখন বিপন্নের বন্ধু, আৰ্ত্তের ত্ৰাণকৰ্ত্তা কে ইহা বলিলে বিদ্যাসাগর মহাশয়কেই লোকে নির্দেশ করিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অপার করুণার আর একটি দৃষ্টান্ত বিদ্যাসাগরের জীবনী-রচয়িত স্বৰ্গীয় বিহারিলাল সরকারের গ্রন্থে এইরূপ আছে :- “একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয় একটী বন্ধুর সহিত কলিকাতায় সিমলাহেদুয়ার নিকট পাদচারণ করিতেছিলেন । সেই সময় একটী ব্ৰাহ্মণ গঙ্গামান করিয়া অতি বিষন্নভাবে তাহার সম্মুখ দিয়া যাইতেছিলেন ।