পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর 8. করিলে তিনি বিনা অভিমানে তাহদের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন । পরন্তু কোনও ধনীর আহবানে আত্মসন্মানে কিছুমাত্র আঘাত লাগিব।ার সম্ভাবনা দেখিলে তিনি সে আহবান গর্বভরে প্রত্যাখ্যান করিতেন । এ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরের জীবনচরিত-রচয়িত স্বৰ্গীয় বিহারিলাল সরকার মহাশয় নিম্নলিখিত বিবরণটা প্ৰদান করিয়াছেন ৎ “বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রায়ই পাইকপাড়া রাজবাটীতে যাইতেন। একদিন পথিমধ্যে র্তাহার পূর্ব-পরিচিত রামধন নামে মুদি র্তাহাকে ডাকিয়া আপনার দোকানে লইয়া যান। রামধন বিদ্যাসাগরমহাশয়কে খুড়া খুড়া বলিয়া ডাকিত। রামধনের সাদর অভ্যর্থনায় আপ্যায়িত হইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় অমানবদনে তঁহার দোকানের সম্মুখে ঘাসের উপর বসিয়া থেলো হুকায় তামাক খাইতেছিলেন, এমন সময় রাজবাটীতে যাইয়া উপস্থিত হইলে কেহ কেহ এ কথার উল্লেখ করেন । “এটা ভবাদৃশ জনোচিত নহে” বলিয়া একটা মৃদু তীক্ষা মন্তব্যও প্ৰকটিত যে না হইয়াছিল, এমন নহে ; বিদ্যাসাগর মহাশয়, কিন্তু ধীর-গভীর বাক্যে অথচ একটু মৃদুমন্দ হাস্তে বলিয়াছিলেন, “গরিব বড় মানুষ আমার সবই সমান।” বিদ্যাসাগর ও দ্বারবান কোনও সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয় পাইকপাড়ার য়াজবাটতে বসিয়াছিলেন, এমন সময়ে এক ভিক্ষুক রাজবাটীর দ্বারদেশে উপস্থিত হইয়া ভিক্ষা চাহে । দ্বারবানেরা ভিক্ষুককে তাড়াইয়া দেয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহা দেখিয়া অত্যন্ত মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন । এই সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোনও কোনও বন্ধু তাহাকে বলেন,- আপমি বাড়ীর দরজায় দরোয়ান বসাইয়া রাখুন। বিদ্যাসাগর। ইহাদিগকে পাইকপাড়ার রাজবাড়ীর দ্বারবানদের কথা শুনাইয়া দিয়া বলিতেন,-“দরোয়ান রাখিলে আমার বাড়ীতে ভিখারীরা এক মুঠা