পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 R Sማ-ሣfቘbጃ ভিক্ষা পাইবে না, আমার সঙ্গে যাহারা সাক্ষাৎ করিতে আসেন তাহাদের অনেকে অপমানিত হইবেন, হয়ত আমার দেখা সকলে পাইবেন না, আমি গরীব ব্ৰাহ্মণ-আমার এ সব উপসর্গে কাজ কি ? দরোয়ান রাখার চেয়ে আমার মৃত্যু ভাল। দিবোয়ান রাখার যে কি অসুবিধা তাহা আমি অন্যের বাড়ীতে দেখিয়া আসিয়াছি, সে অসুবিধা 'আমার বাড়ীতে ডাকিয়া আনিবার প্রয়োজন কি ?” বিদ্যাসাগর ও সাক্ষাৎপ্রার্থী “বিদ্যাসাগরমহাশয়ের সাক্ষাৎকার-লাভের পক্ষে কখনও কোনও রূপ বিস্ত্ৰ-পাধার ব্যবস্থা ছিল না।” চরিতকার বিহারীবাবু এই কথাগুলি লিখিয়া তৎসম্বন্ধে যে দুই একটি উদাহরণ দিয়াছেন সেগুলি আমরা উদ্ধত করিলাম ;- “তিনি যে সময়ে সুকিয়া ষ্ট্রীটে রাজকৃষ্ণবাবুর বাড়ীতে থাকিতেন, সেই সময় একদিন মধ্যাহ্রে এক ব্যক্তি অতি ব্যস্তভাবে তথায় উপস্থিত হন । তখন বিদ্যাসাগরমহাশয় উপস্থিত ছিলেন। লোকটি বিদ্যাসাগরমহাশয়কে চিনিতেন না । তিনি একটু বিরক্ত, একটু উগ্রভাবে বিদ্যাসাগরমহাশয়কে বলিলেন,- ‘বিদ্যাসাগরমহাশয় কোথায় ?” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,- ‘কেন ?” লোকটি বলিলেন,-“র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইবে কি ? অনেক বড় লোকের বাড়ী যাইলাম, কেহই সাক্ষাৎ করিলেন না ; দেখিয়া যাই, বিদ্যাসাগর কিরূপ ” বিদ্যাসাগর মহােশর বলিলেন“আহার হইয়াছে ?” উত্তর হইল,-“আহার কি, জলস্পর্শ হয় নাই। তৃষ্ণায় ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন“বিদ্যাসাগরের সহিত সাক্ষাৎ হইবে । এখন আপনি কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া শান্ত হউন।” লোকটি বলিলেন,-“আগ্ৰে সাক্ষাৎ চাই ।” ইতিমধ্যে দিব্যরূপ জলযোগ আসিল । বিদ্যাসাগরমহাশয়ের অনুরোধে লোকটি জলযোগ করিলেন। পরে শান্ত হইয়া, তিনি বিদ্যাসাগরের