পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর 89 সাক্ষাৎকার-প্ৰাৰ্থ হইলে, বিদ্যাসাগরমহাশয় আর আত্মগোপন করিতে পারেন নাই। তখন লোকটি বিদ্যাসাগরমহাশয়ের প্রকৃত মহত্ত্বানুভব করিয়া পরম পুলকে বিদায় গ্ৰহণ করেন।” ‘অনেকেই আবার সাক্ষাৎকার জন্য অসময়ে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের উপর উৎপীড়ন করিতেন। একবার উত্তরপাড়া হইতে কতকগুলি লোক তাহার বাদুড়বাগানের বাড়ীতে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসেন। উদ্দেশ্য,-চাকুরী-প্রার্থনা । এই সময় বিদ্যাসাগরমহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্যা সাংঘাতিক রূপ পীড়িত ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় উপরে তঁহার শুশ্ৰষা করিতেছিলেন । মন অত্যন্ত চঞ্চল ছিল । এমন অবস্থায় উপস্থিত ব্যক্তিরা তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহেন ! সেই সময় ডাক্তার অমূল্যচরণ বসু মহাশয় নীচে একস্থানে উপবিষ্ট ছিলেন । তিনি উপস্থিত ব্যক্তিগণকে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের মনের অবস্থা জানাইয়া তাহাদিগকে সময়ান্তরে আসিতে বলেন । তঁহারা র্তাহার কথা শুনিলেন না ; অধিকন্তু চাকরের দ্বারা বিদ্যাসাগরমহাশয়কে সংবাদ পঠাইয়া দেন। বিদ্যাসাগরমহাশয় বলিয়া পাঠান,- “অদ্য আমার মন বড়ই চঞ্চল। কন্যার কাছ-ছাড়া হইতে পারি না, আপনার অন্য দিন আসিবেন।” লোক কয়টি একথা না মানিয়া উপরে যাইবার জন্য সিড়ির উপরে উঠিলেন । তখন বিদ্যাসাগর - মহাশয় উপর হইতে নামিয়া একটু বিরক্তিসহকারে বলিলেন“আপনার বড়ই গরজ বুঝেন। আপনাদের কি দয়া-মায়া নাই ? অদ্য যাউন, আর একদিন আসিবেন । তখন লোকগুলি অপ্ৰস্তুত श्व। bलिम्र। शान ।।” “বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উপরে এইরূপ উৎপীড়ন প্ৰায়ই হইত।” তিনি ধলিতেন,-“উৎপীড়ন প্রায়ই হইত বটে কিন্তু উৎপীড়ন সহ করিতে অভ্যাস করিয়াছি।”