পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ-পরিচয় ১৮৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ “আখ্যানমঞ্জরী” প্রণীত, মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত হয়। হোমিওপ্যাথি ও বিদ্যাসাগর ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার বেরিণী সাহেব কলিকাতায় আসিয়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আরম্ভ করেন । কলিকাতার বহুবাজার অঞ্চলের ডাক্তার রাজেন্দ্ৰনাথ দত্ত ইতিপূর্বে হোমিও“প্যাথিক চিকিৎসায় কতকটা ব্ৰতী হইয়াছিলেন। ক্ৰমে বেরিণী সাহেবের সহিত র্তাহার পরিচয় হয় ও সেই পরিচয় বন্ধুতায় পরিণত হয়। বেরিণী সাহেবের সাহায্যে রাজেন্দ্ৰবাবু হোমিওপ্যাথিতে বিশিষ্ট দক্ষতা লাভ করেন । হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা রাজেন্দ্ৰবাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শিরঃপীড়া, বিদ্যাসাগর-বন্ধু রাজকৃষ্ণবাবুর উৎকট মলকৃচ্ছতা আরোগ্য করেন। ইহাতে বিদ্যাসাগরমহাশয় বিস্মিত হইয়া হোমিওপ্যাথির চর্চা আরম্ভ করেন ও বিদ্যাসাগরমহাশয়ের পরামর্শে তঁহার ভ্রাতা দীনবন্ধু ন্যায়রত্ন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হইয়াছিলেন। অতঃপর বিদ্যাসাগরমহাশয়ের সহিত তৰ্কযুদ্ধের ফলে ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি হোমিওপ্যাথির গুণাগুণ পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন । বলা বাহুল্য, পরীক্ষার ফলে ডাক্তার মহেন্দ্ৰলাল হোমিওপ্যাথির অনুরাগী হইয়া পড়েন । অতি অল্প দিনের মধ্যেই র্তাহার। ইহাতে এরূপ সুনাম হইয়া পড়ে যে, বেরণী সাহেবের নাম চাপা পড়িয়া যায়। তখন সকলেই ডাক্তার মহেন্দ্ৰলাল সরকারকেই ডাকিত । ১৮৬৯ সালে বেরিণী সাহেকে রিক্তহন্তে স্বদেশে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিতে হইয়াছিল। তঁহাকে বিদায় দিবার সময়ে ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল বলিয়াছিলেন, “কত সাহেব এ দেশে আসিয়া দেশে ফিরিবার সময়ে পকেট ভৰ্ত্তি করিয়া টাকা লইয়া যান, আপনি কিন্তু শূন্য পকেটে দেশে ফিরিতেছেন।” ইহার উত্তরে বেরিণী সাহেব বলিয়াছিলেন, “আমি