পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর 8ଳ পাঁচ হাজার টাকা পকেটে করিয়া লইয়া যাইতেছি।” রাজেন্দ্রবাবু বলিলেন, “সে কিরূপ ?” বেরিণী সাহেব উত্তর করিলেন, “মহেন্দ্ৰ যে হোমিওপ্যাথিতে দীক্ষিত হইয়াছে ও উহার প্রচারকার্য্যে ব্যাপৃত রহিয়াছে, ইহারই নাম পাঁচ হাজার টাকা ।” ইহার কতিপয় বৎসর পরে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের কনিষ্ঠা কন্যার উৎকট পীড়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আরাম হইয়াছিল। এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় কোনও ফল হয় নাই। এই সময় হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয় হোমিওপ্যাথির পরম পক্ষপাতী হইয়া পড়েন এবং স্বয়ং উহা শিক্ষা করিবার জন্য পূর্বাপেক্ষ যত্নশীল হন । তিনি চিকিৎসা-বিজ্ঞানে অভিজ্ঞতা লাভের জন্য নরকঙ্কাল ক্ৰয় করিয়াছিলেন এবং ডাক্তার চন্দ্ৰমোহন ঘোষ তাহাকে এই বিষয়ে শিক্ষা দিতেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লাইব্রেরীতে বহুসংখ্যক হোমিওপ্যাথিক পুস্তক আছে। ঋণ-পরিশোধ বিধবা-বিবাহ-কাৰ্য্যোপলক্ষে বিদ্যাসাগরমহাশয় বিলক্ষণ ঋণগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন । র্তাহাকে মহারাণী স্বৰ্ণময়ী, পাইকপাড়া রাজপরিবার ও অন্য দুই এক স্থান হইতে ঋণ গ্ৰহণ করিয়া সেই ঋণ পরিশোধ করিতে হইয়াছিল। পরে তিনি মহারাণী স্বর্ণময়ী প্ৰভৃতির নিকট হইতে গৃহীত ঋণের টাকা কাঁড়ায় গণ্ডায় পরিশোধ করিয়াছিলেন । বিধবা-বিবাহের টাকার জন্য বিদ্যাসাগরমহাশয়কে সাধারণের চাদার উপর নির্ভর করিতে হয় নাই । তিনি স্বাবলম্বী পুরুষ-সিংহ ছিলেন । স্বকৃত ঋণের টাকা স্বীয় ক্ষমতাতেই পরিশোধ করিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর ও ম্যালেরিয়া ১৮৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে বৰ্দ্ধমানে ম্যালেরিয়ার বিষম প্ৰাদুৰ্ভাব হইয়াছিল। “ঘরে ঘরে লোক রোগে শয্যাগত হইল, কে কাহার মুখে জল দেয়, 8