পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gr Sማ-ግfጳb¶ পশ্চাৎপদ হইব না । তাহাতে আপনাকে কতকটা সন্তুষ্ট করিতে পারিলেই আমার জীবন ধন্য হইবে ; আর তাহা হইলে বোধ হয়, আপনার সাদভিপ্ৰায়ের বিপক্ষবাদীরাও সন্দিহান হইতে পরিবে না।” এই বিবাহ বিদ্যাসাগরমহাশয়ের পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিগণের সম্পূর্ণ অমতে হইয়াছিল। তবে বিদ্যাসাগরমহাশয় ইহাতে সম্পূর্ণ অভিমতি প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । তিনি পাত্র ও পাত্রীকে কলিকাতায় আনাইয়া মির্জাপুরে কালীচরণ ঘোষের বাটীতে এই পরিণয়কাৰ্য্য সম্পন্ন করাইয়া ছিলেন । এই বিবাহে আপত্তি করিয়া বিদ্যাসাগরমহাশয়ের ভ্ৰাতা বিদ্যারত্ন মহাশয় বিদ্যাসাগরমহাশয়কে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন । উহার উত্তরে বিদ্যাসাগরমহাশয় তাহাকে যে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন তাহা নিম্নে উদ্ধত করা হইল :- “২৭শে শ্রাবণ বৃহস্পতিবার নারায়ণ ভবসুন্দরীর পাণিগ্রহণ করিয়াছে। এই সংবাদ মাতৃদেবী প্ৰভৃতিকে জানাইবে। ইতিপূর্বে তুমি লিখিয়াছিলে, নারায়ণ বিধবা-বিবাহ করিলে, আমাদের কুটুম্ব মহাশয়েরা আহার-ব্যবহার পরিত্যাগ করিবেন। ; অতএব নারায়ণের বিবাহ নিবারণ করা আবশ্যক। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, নারায়ণ স্বতঃপ্ৰবৃত্ত হইয়া এই বিবাহ করিয়াছে, আমার ইচ্ছায় বা অনুরোধে করে নাই। যখন শুনিলাম, সে বিধবা বিবাহ করা স্থির করিয়াছে এবং কন্যাও উপস্থিত হইয়াছে, তখন সে বিষয়ে সম্মতি না দিয়া প্ৰতিবন্ধকতাচরণ করা, আমার পক্ষে কোনও মতেই উচিত কাৰ্য্য হইত না। আমি বিধবা-বিবাহের। প্ৰবৰ্ত্তক । আমরা উদ্যোগ করিয়া অনেকের বিবাহ দিয়াছি, এমন স্থলে আমার পুত্র বিধবা বিবাহ না করিয়া, কুমারী বিবাহ করিলে, আমি লোকের নিকট মুখ দেখাইতে পারিতাম না ; ভদ্রসমাজে নিতান্ত হেয় ও আশ্রদ্ধেয় হইতাম !