পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর C ( পিতৃসেবা ও পিতৃবিয়োগ বিদ্যাসাগরমহাশয়ের পিতাও শেষ জীবনে কাশীবাসী হইয়াছিলেন। পিতৃদেবের সেবার জন্য তিনি কোনও না কোনও ভ্রাতাকে তাহার নিকটে রাখিতেন । নািহ ত কোন আত্মীয়ও তঁাহার নিকটে থাকিতেন । পিতা যেসকল দ্রব্যাদি। আহার করিতে ভালবাসিতেন বা ব্যবহার করিতে পছন্দ করিতেন, তিনি সেইসকল দ্রব্য কলিকাতা হইতে পাঠাইয়া দিতেন। বিদ্যাসাগরমহাশয় মাতার মৃত্যুর পর দুই বৎসর কাশী যান নাই। পরে কাশীতে যাইতেন। কাশীতে যাইলে তিনি স্বয়ং রন্ধন করিয়া পিতৃদেবকে খাওয়াইতেন ও পিতার প্রসাদ গ্ৰহণ করিতেন । তিনি স্বয়ং বাজার করিয়া আনিতেন । ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে পিতার পীড়া হইয়াছে, এই সংবাদ পাইয়া তিনি কাশীধামে গমন কবেন। সেখানে দুই সপ্তাহের মধ্যেই তঁহার পিতৃদেব সুস্থ হইয়া উঠেন । কাশীধামে তিনি নিত্য দান-ধ্যান করিতেন ; বহু দীনদরিদ্র তঁহার দানে উপকৃত হইত। বিদ্যাসাগরমহাশয় তঁাহার পিতামাতাকে সাক্ষাৎ দেবতা বলিয়া জানিতেন । একবার কাশীর ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরা তঁহাকে জিজ্ঞাসা করেন, “কাশীর বিশ্বেশ্বরকে আপনি মানেন না ?” বিদ্যাসাগরমহাশয় বলেন, “আমার বিশ্বেশ্বর ও অন্নপূর্ণ-এই পিতৃদেব ও জননীদেবী সম্মুখে বিরাজমান ‘द्रश्विांछन् |” ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দের ১১ই এপ্রিল তারিখে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের পিতৃদেব ঠাকুরদাস কাশীধামে স্বৰ্গারোহণ করেন। পিতার মৃত্যুর সময়ে তিনি পিতার নিকটে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পিতৃশোকে পঞ্চম বৎসরের শিশুর মত ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরমহাশয়ের জননীদেবীও চৈত্র-সংক্রান্তিতে মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন, পিতৃদেবও