পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VeR ংশ-পরিচয় পত্নীর অনুরোধে পুত্র নারায়ণচন্দ্ৰকে ক্ষমা করিবার প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন । ইহার পর জামাতা সুৰ্য্যবাবুকে কোনও কারণবশতঃ মেট্রোপলিট্যানের সেক্রেটারী-পদ হইতে বিচুত করিয়া দেন। এই দুই কারণে র্তাহার শরীর ভাঙ্গিয়া পড়ে। সূৰ্য্যবাবুর আমোলে মেট্রোপলিট্যান স্কুল ও কলেজের প্রভূত উন্নতি হইয়াছিল। তাহার উপর মেট্রোপলিট্যানের ভার দিয়া তিনি অনেকটা নিশ্চিন্ত ছিলেন। কলেজের ভার পুনঃগ্রহণ ও পীড়াবৃদ্ধি আবার তঁহাকে কলেজের ভার লইতে হইল। জামাতার পদচ্যুতির পর তিনি প্ৰায় প্ৰত্যহই স্কুল-কলেজ পরিদর্শন করিতেন। পান্ধী করিয়া যাইতেন-অ্যাসিতেন। উত্তরপাড়ায় পড়িয়া যাইবার পর হইতে তিনি প্ৰায় গাড়ীতে চড়িতেন না। কিন্তু তঁহার স্বাস্থ্য ক্ৰমেই ক্ষুন্ন হইয়া পড়িতে লাগিল। স্বৰ্গীয় গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে তিনি স্কুল-কলেজ-পরিচালনের ভার দিতে চাহিয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি অক্ষমতা জ্ঞাপন করিয়াছিলেন। রোগ-জীর্ণ দেহের উপর মেটোপলিট্যানের চিন্তায় তিনি কাতর হইয়া পড়িয়াছিলেন। এই শারীরিক ও মানসিক অশান্তির অবস্থাতেও বিদ্যাসাগর মহাশয় বীরসিংহ গ্রামের বিনষ্ট স্কুলটির পুনঃ প্ৰতিষ্ঠা করিয়া দেন এবং স্কুলটির নাম হয়বীরসিংহ ভগবতী বিদ্যালয় । এদিকে ক্রমেই বন্ধুজন-বিয়োগ-ব্যথায় তাহার মৰ্ম্মস্থল নিপীড়িত হইতে লাগিল। বিচারপতি দ্বারকানাথ, প্যারীচরণ সরকার, শ্যামাচরণ বিশ্বাস, কৃষ্ণদাস পাল, দীনবন্ধু মিত্র, মধ্যম ভ্ৰাতা দীনবন্ধু তাহাকে ত্যাগ করিয়া লোকান্তর যাত্রা করেন। ইহাদের বিয়োগ-বেদন বিদ্যাসাগরমহাশয় অসহ বোধ করিতে লাগিলেন। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে। তঁহার ছয় বৎসরের উদরাময়রোগ প্ৰবল হইয়া উঠে।