পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 한-Pf5

    • नयद्धि 'S म९ कां त्र বিদ্যাসাগরমহাশয় যে খট্টাঙ্গে শয়ন করিতেন। সেই খাট্টাঙ্গেই তাহার শবদেহ শায়িত ও শ্মশানে বাহিত হইয়াছিল। পুত্ৰ, ভ্রাতা, দৌহিত্র, আত্মীয়-স্বজন এবং ভক্তগণ খট্টাঙ্গ স্কন্ধে করিয়া রাত্ৰি ৪টার সময়ে নিমতলার শ্মশান-অভিমুখে যাত্রা করেন।

রাত্ৰি প্ৰভাত হইতে না হইতে বিদ্যাসাগরের মৃত্যু-সংবাদ সহ রময় রাষ্ট্র হইয়া পড়িল। আমনই দলে দলে লোক তঁহার শবদেহ দৰ্শন করিবার জন্য শ্মশান-অভিমুখে ধাবমান হইল। নিমতলা ঘাট লোকে লোকারণ্য হইয়া উঠিল। নিমতলা ঘাট ষ্ট্ৰীট শকটরাজিতে পূর্ণ হইয়াছিল । শ্মশানের রাস্তায় এত ভিড় হইয়াছিল যে, ঠেলা ঠেলি করিয়া চলিতে হইয়াছিল। সুৰ্যোদয়ের পর শবদেহ চিন্তা-শয্যায় শায়িত হইয়াছিল, পুত্ৰ নারায়ণচন্দ্ৰ মুখাগ্নি করিয়াছিলেন। বেল দ্বিপ্রহরের পূর্বেই চিতা নির্বাপিত হইয়াছিল। চিতা নির্বাপিত হইলে বহু লোক বিদ্যাসাগরমহাশয়ের চিন্তা-ভস্ম ও অস্থি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । তখন বাঙ্গালায় বিদ্যাসাগরের নাম প্ৰাতঃস্মরণীয় ছিল। বিদ্যাসাগর বাঙ্গালীর নমস্ত ও উপাস্য দেবতাস্বরূপ ছিলেন। তিনি তখন বাঙ্গালার একমাত্র বিরাট পুরুষ ছিলেন। বিদ্যাসাগর বলিলে তখন বাঙ্গালীমাত্রেরই হৃদয়ে এক মহনীয় ও বরণীয় চিত্ৰ ফুটিয়া উঠিত । সেই বিদ্যাসাগরের মৃত্যুতে প্ৰত্যেক বাঙ্গালীই অনুভব করিল-যেন বাঙ্গালাদেশ শূন্য হইয়া পড়িল, এ শূন্ততা আর যেন পূর্ণ হইবে না। তাই বাঙ্গালী জুড়িয়া শোকের যে দীর্ঘশ্বাস উঠিল তঁহার তরঙ্গে সমগ্ৰ দেশ আন্দোলিত হইল। বিদ্যাসাগরের দুঃখে বাঙ্গালার কবি কঁদিল, গ্ৰন্থকার কঁদিল, সংবাদপত্রদেবী কঁদিল, ব্যবহারাজীব কঁাদিল,