পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর Ve প্ৰকাশিত পুস্তক কাদম্বরী, সটীক বাল্মীকি রামায়ণ প্ৰভৃতি মুদ্রিত সংস্কৃত পুস্তক। কবি হেমচন্দ্ৰ ও বিদ্যাসাগর কবি হেমচন্দ্র কয়েক ছত্র কবিতায় বিদ্যাসাগরমহাশয়ের যে চিত্ৰ অঙ্কিত করিয়াছিলেন তাহাই বিদ্যাসাগর-চরিত্রের প্রকৃত আলেখ্য । সে কয় ছত্র এই :- “আসচে দেখ সবার আগে বুদ্ধি সুগভীর, বিদ্যার সাগর খ্যাতি, জ্ঞানের মিহির । বঙ্গের সাহিত্যগুরু শিষ্ট সদালাপী, দীক্ষণ-পথে বুদ্ধঠাকুর, মেহে জ্ঞানবাপী । উৎসাহে গ্যাসের শিখা, দাৰ্চেৰ্য্য শালাকড়ি, কাঙ্গাল-বিধবা-বন্ধু অনাথের নড়ি । প্ৰতিজ্ঞায় পরশুরাম, দাতাকৰ্ণ দানে, স্বাতন্ত্র্যে সেকুল কঁাটা, পারিজাত ভ্ৰাণে । ইংরেজীর ঘিয়ে ভাজা সংস্কৃত “ডিস”. টোল-স্কুলের অধ্যাপক দুয়েরই ফিনিস।” কবি রবীন্দ্ৰনাথ ও বিদ্যাসাগর কবি রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয় বিদ্যাসাগর-সম্বন্ধে তদারচিত প্ৰবন্ধে লিখিয়াছেন :-“র্তাহার (বিদ্যাসাগর মহাশয়ের) প্ৰধান কীৰ্ত্তি বঙ্গভাষা। যদি এই ভাষা কখনও সাহিত্য-সম্পদে ঐশ্বৰ্য্যশালিনী হইয়া উঠে, যদি এই ভাষা অক্ষয় ভাবজননীরূপে মানবসভ্যতার ধাতৃগণের ও মাতৃগণের মধ্যে গণ্য হয়, যদি এই ভাষা পৃথিবীর শোক-দুঃখের মধ্যে এক নূতন