পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o ংশ-পরিচয় হইবে, একালের সমাজতত্ত্ব তাহা স্বীকার করিতে চাহে না। কিন্তু ইখের অস্তিত্ব দেখিলেই বিদ্যাসাগর তাহার কারণানুসন্ধানের অবসর পাইতেন না। লোকটা অভাবে পড়িয়াছে জানিবা মাত্রই বিদ্যাসাগর সেই অভাব মোচন না করিয়া থাকিতে পারিতেন না।” बांत्रांव्लांशू दिछांनांद्रद्ध उत्रांविर्डीद मंत्रऊ স্বৰ্গীয় রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী বলেন,-“ভাগীরথী গঙ্গার পুণ্যধারায় যে ভূমি যুগ-যুগান্তর ব্যাপিয়া সুজলা শস্যশ্যামলা হইয়া রহিয়াছে, রামায়ণী গঙ্গার পুণ্যতর অমৃত-প্রবাহ সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া যে জাতিকে ংসারতাপ হইতে শীতল রাখিয়াছে, সেই ভূমির মধ্যে ও সেই জাতির মধ্যেই বিদ্যাসাগরের আবির্ভাব সঙ্গত ও স্বাভাবিক।” বিদ্যাসাগরের দেশাত্মবোধ (Patriotism) স্বৰ্গীয় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বিদ্যাসাগরের দেশাত্মবােধ ୪୩୩ লিখিয়াছেন,-“যিনি স্বদেশের স্বাধীনতা, গৌরব, তেজোবীৰ্য এবং মহত্ব রক্ষা করিয়া মাতৃভূমির মুখ উজ্জল করেন, তিনিই patriot । তিনি যদি নেপোলিয়ানের ন্যায় রুধির-স্রোতে দেশকে ভাসাইয়া দিয়া দেশের অহিত সাধন করেন আর বলেন যে, দেশের মহত্ত্ব যদি না রহিল। তবে তাহার হিতে কাজ নাই, তথাপি তিনি Patriot । পক্ষান্তরে যাহারা কাটা ছাটা আঁটা সাটা পোষাক এবং দোকান-সাজানিয়া গৃহসজ্জাতেই সভ্যতার পরাকাষ্ঠী দেখেন ; স্বদেশের কিছুই দুচক্ষে দেখিতে পারেন না ; এমন কি, স্বদেশের সর্ববাদিসম্মত বিশিষ্ট উৎকর্ষ স্থানটিকেও র্যাহারা কেবল অন্তের দেখাদেখি নাক-মুখ সিটকাইয়া ভালবাসেন বলেন-তা বই কি, তাহার ভালত্ব আপন চক্ষে দেখেনও ন-দেখিতে জানেনও না ; র্যাহারা স্বদেশের গৌরবে আপনাদিগকে গৌরবান্বিত মনে করেন না, স্বদেশের অপমানেও আপনাদিগকে