পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় ህ” Sኤ মধু মধ্যে মধ্যে প্রায়ই আমাদের; বাটীতে আসিতে লাগিল এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য সমপাঠীদিগের মধ্যেও কেহ কেহ আমাদের বাড়ীতে আসিতে আরম্ভ করিল। আমার মা সকলকেই অতিশয় যত্ন করিতেন, আমাদের সকলকেই খাবার খাইতে দিতেন, গায়ে মাথায় ধূলা লাগিলে চুল আঁচড়াইয়া ও গা ঝাড়িয়া দিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া দিতেন । সেই হইতেই আমার মায়ের উপর মধুর যথেষ্ট শ্রদ্ধা জন্মিয়াছিল। মধু আমাদিগের বাড়িতে আসিত, কিন্তু আমি কোন দিন মধুর বাড়ীতে যাই নাই ; মধু আমায় তজ্জন্য অনুরোধও করে নাই। বোধ হয় আমাদের বাড়ীর ধরণ ও মধুর বাবার বাসাবাড়ীর ধরণ স্বতন্ত্র ছিল ; সুতরাং তথায় লইয়া গেলে পাছে আমার প্রীতি না হয়, এইজন্যই সম্ভবতঃ মধু আমাকে ওরূপ অনুরোধ কোন দিন করে নাই। ক্লাশে মধু ও আমি একসঙ্গে বসিতাম। মধু যে পুস্তকখানি পড়িত সেখানি আমাকে না পড়াইলে তাহার তৃপ্তি হইত না । ফল কথা উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব খুবই প্ৰগাঢ় হইয়া উঠিয়াছিল৷ ” ছাত্রজীবনে ধৰ্ম্ম ও আচারনিষ্ঠ। এই সময়ে হিন্দু কলেজের ছাত্ৰগণের মনে ইংরেজী আচার-ব্যবহার ও আদব-কায়দার অনুকরণ, প্ৰবৃত্তি ক্ৰমেই বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইতেছিল। স্বদেশীয় রীতিনীতি ও আচারধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগ ধীরে ধীরে হ্রাস পাইতেছিল। অনুকরণের স্রোত এতই তীব্ৰ হইয়া উঠিতেছিল যে, তাহার বেগে অনেককেই বিভ্ৰান্ত হইতে হইয়াছিল। এই সন্ধিক্ষণেএই তীব্র স্রোতের মধ্যে ভূদেব স্বজাতীয় আচারধৰ্ম্ম অক্ষুন্ন রাখিয়াছিলেন ; বিজাতীয় অনুকরণ-প্ৰবৃত্তি র্তাহার চিত্তকে উদ্ভান্ত করিতে ‘পারে নাই। এ সম্বন্ধে ভূদেববাবুর সহাধ্যায়ী ও সুহৃদ স্বৰ্গীয় রাজ