পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tr $ቕሣ-°ዘfቘbጻ নারায়ণবাবু লিখিয়াছেন -“তখন হিন্দু কলেজের ছাত্রেরা মনে করিতেন মদ্যপান সভ্যতার চিহ্ন ; উহাতে দোষ নাই । আমি এবং আমার কতকগুলি সহচর একত্ৰ হইয়া গোলদীঘিতে বসিয়া মদ খাইতাম । এখন যেখানে সেনেট হাউস হইয়াছে সেখানে কতকগুলি সিককাবারের দোকান ছিল। আমরা গোলদীঘির রেল টপকাইয়া ( ফটক দিয়া বাহির হইবার বিলম্ব সহিত না ) ঐ কাবাব কিনিয়া আনিয়া আহার করিতাম। আমি ও আমার সহচরেরা এইরূপ মাংস ও জলস্পর্শশুন্য ব্ৰাণ্ডি খাওয়া সভ্যতা ও সমাজ-সংস্কারের পরাকাষ্ঠাপ্ৰদৰ্শক কাৰ্য্য বলিয়া মনে করিতাম । “এইরূপ বিশ্বাসে এবং ধৰ্ম্মহীন শিক্ষার ফলে ভূদেববাবুর সহাধ্যায়ীদিগের মধ্যে মাইকেল মধুসুদন এবং জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । কেহ কেহ অমিতাচারের ফলে অকালে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন এবং অনেকে না হিন্দু, না মুসলমাননা। খৃষ্টিয়ানভাবে চিরজীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন । সে তরঙ্গে স্বল্পাধিক পরিমাণে বিচলিত হন নাই, ভূদেববাবুর সহাধ্যায়ীদিগের মধ্যে সেরূপ অতি অল্পই ছিলেন। তিনি এবং তঁহার ন্যায়। আর দুই এক জনই কেবল সাগর মধ্যস্থিত পৰ্ব্বতের ন্যায়। সেই প্লাবনের মধ্যে অটলভাবে দণ্ডায়মান ছিলেন।” স্বৰ্গীয় গেীরদাস বসাক ভূদেববাবুর সহাধ্যায়ী ছিলেন। তিনি হিন্দু কলেজে ভূদেববাবুর ছাত্রজীবনের সম্বন্ধে লিখিয়াছেন :-“কলেজে প্ৰত্যহ টিফিনের ছুটী হইত। ছুটীর সময় কেহ খেলা করিত, কেহ পাচ জনের সহিত একত্ৰ বসিয়া গল্পগুজব কিরিত, কোথাও বা দুই পাঁচ জন একত্ৰ সম্মিলিত হইয়া কুপরামর্শ আঁটিত। ভূদেব টিফিনের ছুটির সময় ক্লাস হইতে বাহির হইত না । সে বড়ই গম্ভীর এবং অল্পভাষী ছিল, কেবল বই লইয়া বসিয়া থাকিত। সে নয়। হাতি