পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় ゲ○ মোটা দেশী লালপোড়ে ধুতি, মলমলের চাদর এবং পায়ে চটজুতা ব্যবহার করিত । কাহার সঙ্গে বেশী কথা কহিত না এবং তাহার সহিত কেহ বড় একটা কথা কহিত না । তাহাকে সকলেই “পুস্তককীট” বলিয়া জানিত। কোন রূপ বৃথা গল্প তাহার ভাল লাগিত না। ক্লাসের মধ্যে সেই সৰ্বাপেক্ষা তীক্ষুধী এবং সচ্চরিত্র ও সুনীতি छाद्ध छिल | “ক্লাসের ছেলেরা যখন বিস্কুট প্রভৃতি ইংরাজী খাদ্য খাইত, ভূদেব তখন তাহদের সঙ্গে থাকিত না। এমন কি কলেজে ব্ৰাহ্মণ শূদ্রের জন্য পৃথক জলপাত্রের ব্যবস্থা থাকিলেও সে কখন তথায় একঘাট জল খাইয়াছে কি না সন্দেহ। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়িবার সময় আমার বিবাহ হয়। সেই বিবাহ উপলক্ষে আমি বাগান-বাড়ীতে সহপাঠীদিগকে একটী ভোজ দিই। ; ভূদেব সে ভোজে যোগ দেয় নাই। কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতরণ করিয়া কৰ্ম্মসুত্রে আমি যখন খুলনা, সিউড়ি প্রভৃতি স্থানে থাকি,তাম, তখন ভূদেব আমার ওখানে যাইয়া খাইয়াছেন সত্য, কিন্তু নিজের ব্ৰাহ্মণ দিয়া রাধাইয়া। তবে খাইয়াছেন। তঁহার স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠা সকল দিকেই ছিল । “এক কথায় বলিলে গেলে, হিন্দু কলেজে পঠদ্দশায় আমাদের সহপাঠিগণ ও অপরাপর ছাত্ৰগণের মধ্যে ভূদেব একজন অতি কঠোর ধৰ্ম্মাবলম্বী হিন্দু, অতুলনীয় পবিত্ৰচরিত্র এবং অসাধারণ মনীষা সম্পন্ন ছিল। তঁহাকে কখনও অসন্তুষ্ট বা রাগান্বিত দেখা যায় নাই। র্তাহার আদর্শে গঠিত চরিত্র সমস্ত ক্লাসের মধ্যে আর কাহারও ছিল না । তঁহার বাল্যের এইসমস্ত গুণ উত্তরকালে কাৰ্য্যে বিকশিত হইয়াছিল।” ভূদেববাবুর পুস্তক কিনিবার সঙ্গতি ছিল না। র্তাহার পিতা কোনও প্রকারে তঁহার স্কুলের মাহিয়ােনাটিই জোগাইতেন ; পুস্তক